ঢাকা: করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বব্যাপী এই সমস্যা। তবে দেশের সব ধরনের মানুষ যাতে উপকৃত হয় এজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এজন্য আমরা ১৯টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যার ফলে দেশের ১২ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ সুবিধা পাচ্ছে।
বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে এবার অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা জানান, স্বল্প সময়ে দুই হাজার চিকিৎসক ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, হেলথ টেকনোলজিস্টদের তিন হাজার পদে নিয়োগ চলছে।
সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত চলিত অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহাদুযোর্গের কারণে আজকে বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি চার দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে প্রাক্কলন দিয়েছে। করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ১৯ কোটি ৫০ লাখ কর্মীর চাকরি হ্রাস, বৈশ্বিক এফডিআই প্রবাহ ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস এবং বৈশ্বিক রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশে একটি বাজেট প্রণয়ন করেছি। এই বাজেট প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ কাজ ছিল। এই বাজেট প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাজেট প্রণয়ন করেছেন।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসী যেন মুক্তি পান। চিকিৎসাধীনরা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আজকের অধিবেশনে বাজেটের উপর সংসদ সদস্যদের আলোচনা চলছে। বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ আরো কয়েকজন আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আগামীনিউজ/এমআর