Dr. Neem on Daraz
Victory Day
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি রুট

নাব্যতা সংকটে ওয়ান ওয়ে চ্যানেল চালু


আগামী নিউজ | তরিকুল ইসলাম সুমন প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২০, ০২:০২ পিএম
নাব্যতা সংকটে ওয়ান ওয়ে চ্যানেল চালু

সংগৃহীত

বর্ষায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। ফলে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ির মূল চ্যানেলে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বর্ষায় এসময়ে ফেরি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে বিকল্প চ্যানেল (ওয়ান ওয়ে) চালু করেছেন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।  

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী সোজা চ্যানেল হতে প্রায় ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ভাঁটিতে উঁচু চরের মধ্য দিয়ে এই বিকল্প চ্যানেলটি তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে এ বুধবার বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করছে বলে বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. ছাইদুর রহমান আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি ও নৌ-চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের মতো এবছরেও  শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি সোজা চ্যানেল কাটা হয়েছে।  প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন ও অতিমাত্রায় পলি জমায় সরাসরি রুটটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একারণে নতুন চ্যানেল দিয়ে ঢুকে পুরাতন চ্যানেল দিয়ে ফিরে আসছে।

তিনি আরো বলেন,  দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যানবাহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌ-রুট শিমুলিয়া-কাঁঠারবাড়ি ফেরিঘাট। প্রতি বছর বর্ষার সময় পদ্মায় নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান হতে আসা বিপুল পরিমাণ পলি এবং ডুবো চরের কারণে এ ফেরি রুট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।  বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বর্ষা মৌসুমে এ রুটের শিমুলিয়া-লৌহজং চ্যানেলে জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত স্রোতের গতিবেগ ৭ হতে ৮ নটিক্যাল মাইল হয়। তাই সরাসরি ফেরি চলাচল করতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র  জানায়, এ নৌ পথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বিকল্প চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট বিগত ৪-৫ বছর যাবৎ বর্ষা মৌসুমে নাব্যতার সমস্যা হয়। এরূপ পরিস্থিতিতে বিগত ৪-৫ বছর যাবত শিমুলিয়া-লৌহজং চ্যানেলের বিকল্প হিসাবে একটি চ্যানেল বিআইডব্লিউটিএ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। কিন্তু এ বছর পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ড্রেজিং-এর মাটি দ্বারা উক্ত বিকল্প চ্যানেলটি বন্ধ করে রেখেছিল। এমন পরিস্থিতিতে বর্ষা মৌসুমে ফেরি চলাচল অব্যাহত রাখতে গত ২৪ মার্চ থেকে ৫টি ড্রেজার দিয়ে বিকল্প চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ওই চ্যানেলে ৪ লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার ড্রেজিং করা হয়েছে।

আগামীনিউজ/তরিকুল/জেএফএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে