ঢাকা: রমযান ও করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বেশি রাখে। আর তা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর । এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা তদারকিমূলক অভিযান চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুক্রবার (৮ মে) জাতীয় ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় অভিযান চালায় সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল।
অভিযান সম্পর্কে আবদুল জব্বার মন্ডল বলেন, চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে জিনজিরা বাজারের বারেক স্টোর, জাহাঙ্গীর স্টোর, সেলিম স্টোর ও তোফাজ্জল স্টোরকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা। প্রদর্শনকৃত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে এ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি থেকে বিরত থাকা। রমজানকে কেন্দ্র করে অতি মুনাফা লাভ থেকে বিরত থাকা, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া পণ্য ক্রয়ে প্রতারিত হলে ভোক্তা হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
অধিদফতরের এ কর্মকর্তা বলেন, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আদা ১৩০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ৯০-১০০ টাকা, চায়না রসুন ১৩০-১৪০ টাকা, দেশি মসুরির ডাল ১২০ টাকা প্রতি কেজি খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
আগামী নিউজ/ আরিফ/ তাওসিফ