ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৩ বাংলাদেশি স্বাস্থ্য ছাড়পত্র নিয়ে আগামীকাল শনিবার (১৪ মার্চ) দেশে ফিরবেন।
বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় শনিবার বিকালে ইনডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ছাড়বেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এবং এক শিশুসহ একটি পরিবারের ওই বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
২৩ জন সদস্যের ওই দলে থাকা এক শিক্ষার্থী ফোনে ইউএনবিকে বলেন, আমরা শুক্রবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য ছাড়পত্র পাব, শনিবার ঢাকায় ফিরতে পারব বলে আশা করছি।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনকে তিনি জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে নিজেদের ৩১২ নাগরিককে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ সরকার। বাকি বাংলাদেশিদের ফেরত আসার ক্ষেত্রে নিবন্ধন করা হয়। ৮টি পরিবার, ৫ শিশুসহ ৭৬ ভারতীয় নাগরিক এবং অন্যান্য দেশের ৩৬ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনার পর প্রথমে বিমানবন্দরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাদের প্রাথমিক সব সুবিধা সরবরাহ করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশের, ৬ জন চীনের, মিয়ানমার ও মালদ্বীপের ২ জন করে এবং মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের একজন করে নাগরিক ছিলেন।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উহান থেকে প্রথম দলকে ফিরিয়ে আনার ৪৮ ঘণ্টা আগে নয়াদিল্লির ছাওলাতে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প প্রস্তুত করেছিল আইটিবিপি। বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশন।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং স্থানীয় আরো তিনটি বিমান সংস্থা নয়াদিল্লির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে তাদের সব ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশি নাগরিকদের শনিবার সুষ্ঠুভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশে ফেরত আসার জন্য অপেক্ষায় থাকা এক শিক্ষার্থী।
আগামীনিউজ/নুসরাত