জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করতে বছরব্যাপী প্রোগ্রাম নিতে জেলা প্রশাসকদের নিদেশ দিয়েছে উদযাপন কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) আন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ নির্দেশ দিয়েছেন উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ অনুযায়ী আতসবাজির মধ্য দিয়ে রাত আটটায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।
প্রধান সমন্বয়ক বলেন, রাত ৮টা থেকে ২ ঘণ্টা (কম বেশি হতে পারে) অনুষ্ঠান চলবে। অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা আরো জায়গা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে থাকবে আতশবাজি ও তোপধ্বণি। বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা অনুষ্ঠান করবো। আমরা সেটা সরাসরি সম্প্রচার করবো। দেশের মানুষ যে যে অবস্থানে থাকবেন সেখান থেকে অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
তিনি বলেন, সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করা হবে। মুজিববর্ষ আয়োজন একটি উৎসব, এই উৎসবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উৎসব হলেও জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এর আগে বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের জনসমাবেশ পরিহারের নির্দেশ দেন ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল গাফফার খান জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে ২৫ মার্চ এবং ২৬ মার্চের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধরা সমাবেশ করবেন না, তাদের ফুল ও উপহার দেওয়া হবে। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা নেবেন।
আব্দুল নাসের চৌধুরী জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, প্রবেশন অ্যাক্ট কার্যকর করতে হবে। এদিনটি শিশু দিবসও। খেয়াল রাখবেন, লঘু অপরাধে কোনো শিশুর যেন শাস্তি না হয়, তারা যেন জেলে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো শিশু জেলে আছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে প্রবেশন আইনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।
আগামীনিউজ/তরিকুল/নুসরাত/নাঈম