ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের বাধা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মতো আজও বুড়িগঙ্গা-তুরাগ নদের সংযোগস্থল বসিলা ব্রিজের পাশে নদী দখল করে নির্মিত মাইশা পাওয়ার প্ল্যান্টে অভিযান চালানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এ অভিযান শুরু করে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে বেলা ১১টার দিকে আসলামুল হক ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন।
এসময় বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যৌথ জরিপের কথা বলে যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, সেই জরিপের কাগজপত্র আমাকে দেখাতে হবে। না হলে অভিযান চালানো যাবে না।’ তবে বিআইডব্লিউটিএ বাধা উপেক্ষা করে অভিযান অব্যাহত রাখে।
পরে সংসদ সদস্য আসলামুল হক বলেন, তার বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে ডিআইডব্লিউটিএ অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল। তবে এখন তারা অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে এমপি এসে একটু সমস্যা করেছিলেন। আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রেখেছি। তার দাবি ঠিক নয়। তবে তাকে যে জায়গার জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি না। এটা নদীর জায়গা। এটা বুঝে নেওয়ার জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’
উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি বাধা দিলে তারা কাজ করছেন কীভাবে। সকালের দিকে আমি একবার গিয়েছিলাম, তারা যে জরিপের ভিত্তিতে উচ্ছেদ করছে সেটা দেখার জন্য। তারা সেটা দেখাতে পারেনি। দুপুরে আমি চলে এসেছি। তারপরও তারা তাদের কাজ চালিয়ে গেছেন। বাধা দিলে কাজ চলে কীভাবে?
দলবল নিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে আমার অনেক স্টাফ আছেন। আমি ধানমন্ডির অফিসে বসে কীভাবে বাধা দেবো?’
একাধিক অনাপত্তিপত্র তার কাছে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবো। এর একটা পারমানেন্ট সুরাহা আমি চাই।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র বিশেষ অভিযানের ১৯তম দিনে ১৫টি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার ঘন ফুট মাটি ও বালু অপসারণ করা হয়েছে।
অভিযান আগামী ১০ ও ১১ মার্চ আবার শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
আগামীনিউজ/মামুন