ঢাকাঃ দেশের ছয় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বিস্তৃত হতে পারে। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকা রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজারের আশপাশেও শীতল ওই আবহাওয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরের জেলা রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম এবং মধ্যাঞ্চলের কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে শীতের কারণে রবি ও সোমবার রাজশাহীর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জয়পুরহাটে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী ও নওগাঁর বদলগাছীতে।
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার পাশাপাশি তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় জেলার ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২২২টি মাদরাসাসহ মোট ১ হাজার ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলায় রোববার তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে জেলাজুড়ে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দিন ও রাতে সমান শীতের অনুভূতি ছিল। এটা কিছুটা অস্বাভাবিক। শীতকালে দিনে রোদ থাকে, রাতে শীত নামে। এটাই স্বাভাবিক। আগামী কয়েক দিন এ ধরনের শীত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে অনেক জায়গায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা বাড়তে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিমগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার রাত ৩টা থেকে এ তিন নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এমআইসি/