ঢাকাঃ ‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’- এ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে শিগগিরই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে দ্বিভাষিক অনলাইন পত্রিকা ‘ঢাকাপ্রকাশ’।
আনুষ্ঠানিক প্রকাশের আগে উন্মোচন করা হলো ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর লোগো। অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার (১ নভেস্বর) বিকেলে হোটেল লা ভিঞ্চির মোনালিসা হলে যৌথভাবে লোগো উন্মোচন করেন পাঁচটি প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন পত্রিকার পাঁচ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মধ্য দিয়ে উন্মোচন করা হয় ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর লোগো। পরে কেক কেটে তা উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘প্রায় ত্রিশ বছর প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাধারণ রিপোর্টার থেকে চিফ রিপোর্টার, উপ-সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ অভিজ্ঞতার আলোকে দ্বিভাষিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ঢাকাপ্রকাশ’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।’
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘কয়েকজন সুহৃদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি ‘ঢাকাপ্রকাশ’। এ প্রতিষ্ঠানে কোনো অন্যায় চাপ কিংবা বাধা থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে আমরা সততা ও সুসাংবাদিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করব।’
দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘এ সময় বড় চ্যালেঞ্জ অসততা ও দুর্নীতি। চ্যালেঞ্জ অপসাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতা। ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর স্লোগানই হলো ‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’। আমার বিশ্বাস তারা দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করবে। বিভিন্ন কারণেই গণমাধ্যম মোকাবেলা করছে নানা ঝুঁকি। ঝুঁকি থাকবেই। একাত্তরে আমাদের ঝুঁকি ছিল। আমরা ঝুঁকি মোকাবেলা করেই সফল হয়েছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ঝুঁকি ছাড়া সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি ঢাকাপ্রকাশ সফলতা পাবে।’
বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার বলেন, ‘ঢাকাপ্রকাশ-এর সম্পাদক বিনয়ী ও সৎ মানুষ। আমার বিশ্বাস তিনি সেই সততা ও সুসাংবাদিকতার মাধ্যমে পত্রিকাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’
জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘কঠিন সময় পার করছে আমাদের গণমাধ্যম জগত। কিন্তু এই কঠিন সময়েও আসছে নতুন নতুন পত্রিকা। এটা প্রশংসনীয় দিক। আমি বিশ্বাস করি সততা ও সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় প্লাটফর্ম হবে ঢাকাপ্রকাশ।’
পাক্ষিক অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে মোস্তফা কামাল লড়াকু মানুষ। লড়াই করেই তিনি এতদূর এসেছেন। সাংবাদিকতার নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকাপ্রকাশ তার স্বপ্নের গণমাধ্যম। অনেকদিন ধরে তিনি পরিকল্পনা করছেন। নীরবে কাজ করছেন। তার স্বপ্ন ও অধ্যবসায় সফল হবেই তা প্রত্যাশা করি।’
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, বিজয়ের মাসে ডিসেম্বরের ১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে দ্বিভাষিক অনলাইন পত্রিকা ঢাকাপ্রকাশ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
আগামীনিউজ/শরিফ