হয়তো কোনো একসময় এমন হতে পারে কেউ আর মেয়ে বাচ্চা জন্ম নেওয়ার আগেই তাকে নিমিষে শেষ করে ফেলবে। একটা মেয়ের জীবনে তার পরিবার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাবা মেয়ের সম্পর্ক মধুর হয়ে রয়। বাবার কাছে তার মেয়ে রাজকুমারী। বাবার রাজকুমারীর জন্য টাকা দিয়ে এক মহাপুরুষ দত্তক নিতে হয়।
সময়ের সাথে সাথে যৌতুকের হার অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে গেছে ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ ছাড়া বাবার রাজকুমারীকে কোনো রাজকুমার বিয়ে করবে না।
যে পরিবারে ছেলে জন্মগ্রহণ করে সকলে ঈদ উদযাপন করে কেননা ছেলে ২৩ থেকে ২৭ বছর বয়স হলে অন্য কারো রাজকুমারী বিয়ে করলে অনায়সে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পাবে। এভাবে একসময় মেয়ে সন্তান এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করা মহাপাপ পরিণত হয়ে যাবে।
বিয়ের যৌতুক
যে ছেলে ১০ টাকার জিনিস ৩ থেকে ৪ টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করে সেই ছেলে শ্বশুরের দেওয়া ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পেলে সেই জিনিস ২৫ টাকা দিয়ে কেনে। যেখানে Shoe ৩০০০ হাজার অনেক ভালো পাওয়া যায় সেখানে ৭০০০ থেকে ৮০০০ হাজার টাকা দিয়ে কেনে। অথচ সেই মেয়ের বাবা তার সবকিছু বিক্রি করে তার মেয়ে যেন সুখে থাকে কষ্ট করে সেই টাকা গুলা দিয়ে দেয় অথচ অন্য মানুষ কিছু কম হলে সেই অজুহাত দিয়ে অসহায় বাবার উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। একবার সেই বাবার অবস্থানে নিজেকে বসিয়ে দেখবেন কতটা কষ্ট হয় সেটা শুধু বাবাই জানে।
একটা মেয়ের জন্য যৌতুক জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়।
যৌতুক মুক্ত নীলফামারী হোক।রংপুর বিভাগে যৌতুক প্রথা অনেক বেশি প্রচলিত। আমাদের দেশের প্রশাসন যদি একটু কঠোর নিয়ম অনুসরণ করে তাহলে হয়তো রংপুর যৌতুক মুক্ত সম্ভব।
সানজিদা আক্তার
দর্শন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
চতুর্থ বর্ষ
থানা/জেলা: নীলফামারী