ঢাকাঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মো. আবদুল মোমিনের মেয়ে শামসুন্নাহার শেফা। এবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
শেফা দারিদ্র্যতার মাঝেও এখন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু মেডিক্যালে ভর্তিতে তার বাধা এখন দারিদ্র।
মেধাবী মেয়ে শেফা ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তি, জেএসসিতে গোল্ডেন এপ্লাস পান। ২০১৮ সালে সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২০ সালে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
শেফার বাবা আব্দুল মোমিন বলেন, ‘ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের আড়পাড়া গ্রামে আড়াই শতক জমির উপরে আমার একটি টিনের বাড়ি রয়েছে। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে অমিতা খাতুনের বিয়ে দিয়েছি। সে শশুড় বাড়িতে সংসার করছে। আমি বর্তমানে একটি মেশিন নিয়ে দোকান ভাড়া করে সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছি। এ অবস্থায় মেয়েরে কেমনে ভর্তি করুম। দিন যত যাচ্ছে, চিন্তা তত বাড়ছে। কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ান।’
শামসুন্নাহার শেফা মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৮৮২তম হয়েছেন। এখন ভর্তিতে সামর্থ্য না থাকার কারণে মানুষের দরজায় দরজায় নক করছেন। অসহায় বাবা জানান, মানুষের সাহায্য পেলে তার মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। শুরুতেই ভর্তি করতে ৫০-থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। অনেকেই পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি মেয়ের ভর্তির জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আগামীনিউজ/জনী