ঢাকাঃ আসন্ন এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও ভারতের আপত্তির মুখে টুর্নামেন্টটি আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পিসিবি। এশিয়া কাপ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। টুর্নামেন্ট নিয়ে চলা অচলাবস্থার মধ্যেই এবার আরও বড় দুঃসংবাদই হয়তো পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০২৫ সালে দেশটির মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনেরও সুযোগ হারাতে পারে ক্রিকেট পাকিস্তান। ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন জানিয়েছে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে হতে পারে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। পরের বছর তথা ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়ানোর কথা পাকিস্তানে। দুটি আসরেরই আয়োজক বদলে যাচ্ছে বলেই খবর। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক করা হতে পারে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসকে।
একদিকে পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত; অন্যদিকে পিসিবি হুমকি দিয়েছে ভারতের মাটিতে তারা ওয়ানডে বিশ্বকাপ বর্জন করবে। এশিয়া কাপের জন্য হাইব্রিড মডেল প্রস্তাব করেছিল পিসিবি। চারটি ম্যাচ তারা পাকিস্তানে ও বাকি ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করতে চায়। তবে সে প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ওই মডেলে অনাস্থা জানিয়েছে।
ওই ঘটনায় এশিয়া কাপ বর্জনের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কাতে হতে পারে এশিয়া কাপ। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এশিয়া কাপ নিয়ে যখন জল্পনা-কল্পনা চলছে এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে আইসিসির ব্রডকাস্ট রাইটস হোল্ডাররাও। তারাও এই বিষয়টির সুষ্টু সমাধান চান। অবশ্য এখনও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশগুলো এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তিতে সাক্ষর করেনি।
আগামী জুলাইতে ডারবানে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় এই চুক্তি সাক্ষরের কথা রয়েছে। সেখানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিতে পারে আইসিসি। এমনকি পাকিস্তানকে দেওয়া হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানাও।
এমআইসি