1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বিশ্বকাপের ম্যাচ চলার সময় ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ১১:২৫ এএম বিশ্বকাপের ম্যাচ চলার সময় ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্লেট সেমিফাইনালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা চলছিল জিম্বাবুয়ের। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার তখন, হঠাৎ কেঁপে উঠলো ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভাল। প্রায় ২০ সেকেন্ডের মতো চললো ভূমিকম্পের নড়াচড়া।

পরে জানা গেলো, ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল স্টেডিয়ামের খুব কাছেই। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় দর্শকরা ক্যামেরার নড়াচড়া দেখতে পেয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যম লুপনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৫.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প শনিবার সকালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় সংঘটিত হয়।’ পূর্ব ক্যারিবিয়ানের ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্র ইউডব্লিউআই সাইসমিক রিসার্চ সেন্টারের মতে, এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। 

সে সময় ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা অ্যান্ড্রিউম লেনার্ড জানান, ‘এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড। তবে কখনোই মনে হয়নি যে মিডিয়া সেন্টারটা ভেঙে পড়বে। মনে হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সবকিছু নড়ছে, কিন্তু আপনি কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। কেউ জানে না শেষে কী হবে! বিষয়টা কিছুটা ভয়েরই ছিল।’

মাঝে অবশ্য সবকিছু শান্তই ছিল। কেউ বুঝতেই পারেননি কী ঘটে গেছে প্যাভিলিয়নে। খেলা শেষে টিম টেক্টর ক্রিকবাজকে জানালেন, ‘আমরা জানতামই না যে কিছু ঘটে গেছে। আমরা মাটিতে ছিলাম, সে কারণেই হয়তো আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প, অনেক বড় কিছু। তবে আমরা ম্যাচ চলার সময় মোটেও অনুভব করিনি সেটা।’

খেলোয়াড়রা কিছু না বুঝলেও মাঠের বাইরে থাকা সাপোর্ট স্টাফরা অবশ্য বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্পটা, পরিকল্পনা ছিল যে কোনো মুহূর্তে মাঠে ঢুকে যাওয়ারও। এমন ভূমিকম্পেও ম্যাচ চলছে, তা নিয়ে বিস্ময়ের শেষ ছিল না দুই দলের কোচিং স্টাফদের। আইরিশ দলের সঙ্গে কথা বলে ধারাভাষ্যকার লেনার্ড জানান, ‘কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, যে এই পরিস্থিতিতেও খেলা চলছে। ভূমিকম্পটা তাদের জন্য কিছুটা উদ্বেগ নিয়েই এসেছিল।’

লেনার্ড আরও যোগ করেন, ‘তারা মাঠ থেকে অনেক দূরে ছিলেন তারা। ব্রায়ান লারা প্যাভিলিয়নে। তারা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আইরিশ স্টাফরা সবাই মাঠে ঢুকে পড়তে তৈরি ছিলেন। যদিও তা মাত্র ২০ মিনিট টিকে ছিল। কিন্তু কম্পনটা বেশ তীব্রই ছিল।’

পূর্ব ক্যারিবিয়ানের ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্র ইউডব্লিউআই সাইসমিক রিসার্চ সেন্টারের মতে, এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়।

ম্যাচ চলার সময় ভূমিকম্পে ভীত এক ধারাভাষ্যকারকে বলতে শোনা যায়, ‘বন্ধুরা, আমার মনে হচ্ছে একটা ভূমিকম্প হচ্ছে। আমরা বক্সে বসে সেটা অনুভব করতে পারছি।’

তবে খোলা মাঠে থাকায় জিম্বাবুয়ে কিংবা আয়ারল্যান্ডের কোনো খেলোয়াড়ই অনুভব করতে পারেননি কম্পনের তীব্রতা। আইরিশ দলের টিম টেক্টর ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমরা জানতামই না যে কিছু ঘটে গেছে। আমরা মাটিতে ছিলাম, সে কারণেই হয়তো আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প, অনেক বড় কিছু। তবে আমরা ম্যাচ চলার সময় মোটেও অনুভব করিনি সেটা।’

আগামীনিউজ/বুরহান 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner