ঢাকাঃ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেপালের বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ভাল ফুটবল খেলে এসেছে। তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা দলটির এখন ফাইনাল খেলতে হলে নেপালের বিপক্ষে জয়লাভ করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই।
মালদ্বীপের রাজধানী মালের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার বিকাল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল দল। পরের ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও ১০ জন নিয়ে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ভারতকে। তবে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ছন্দ হারিয়ে ফেলে লাল সুবজরা। পরাজয় বরণ করে ০-২ গোলে।
অপরদিকে, পয়েন্ট তালিকায় অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে নেপাল। তারা একটিতে হারলেও জয় পেয়েছে বাকী দুই ম্যাচে। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্র করলেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত হবে নেপালের। তারা টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারায় ৩-২ গোলে। তবে তৃতীয় ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে শক্তিশালী ভারতের কাছে পরাজিত হয় নেপাল।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া বলেন, ‘আমাদের দলটি বেশ শক্তিশালী। সতীর্থদের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে, তারা শতভাগ উজাড় করে খেলবে। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।’
টাইগার দলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে আমরা ভাল অবস্থায় আছি। নেপালের বিপক্ষে ৯০ মিনিটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের জয় দরকার। আমাদের যোগ্যতা রয়েছে এবং লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’
ঝুলিতে ছয় পয়েন্ট থাকায় এই ম্যাচে কিছুটা আপার হ্যান্ডে নেপাল। একটা ড্র তাদের নিয়ে যাবে প্রথম বারের মতো সাফের ফাইনালে। এটা চাপ সৃষ্টি করলেও তা নিতে নারাজ ওরা। উল্টো কথার লড়াইয়ে বাংলাদেশকেই চাপে রাখার চেষ্টা।
নেপালের সহকারী কোচ কিরণ শ্রেষ্ঠা জানান, 'আমরা চাপে আছে এটার সঙ্গে আমি একমত নই। বরং বলব চাপটা বাংলাদেশেরই বেশি। কারণ ওদের জিততেই হবে। আমাদের প্রথম বারের মতো ফাইনাল খেলার হাতছানি। আশা করছি, ছেলেরা তা করে দেখাবে।'
২০০৫ সালে সাফে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ১৬ বছর পর কি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা মঞ্চে ওঠাতে পারবে জামাল ভূঁইয়ারা?
আগামীনিউজ/নাসির