ঢাকাঃ পেস বান্ধব কন্ডিশনে গিয়ে খেললেও বাংলাদেশের পেসারদের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই। আবির্ভাবেই দেশের ইতিহাসের সেরা পেসারের তকমা কেউ কেউ জুটিয়ে দিয়েছিলেন যার নামের আগে, সেই মুস্তাফিজুর রহমানও বোলিংয়ের ধার হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে এবারের আইপিএল খেলতে গিয়ে দেখা মিলল পুরনো কাটার মাস্টারের। আর তাতে অবদান এক বাঙালি কোচের।
বাঙালি পেস বোলিং কোচ সিদ্ধার্থ লাহিড়ী রাজস্থান রয়্যালসের কোচিং স্টাফ হিসেবে মুস্তাফিজকে নিয়ে কাজ করেছেন এক মাস। এই সময়ে মুস্তাফিজের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মত। মুস্তাফিজও স্বীকার করেছেন এই কোচের অবদান।
হিথ স্ট্রিক, কোর্টনি ওয়ালশ, ওটিস গিবসন- জাতীয় দলের সর্বশেষ তিন পেস বোলিং কোচ। তিনজনই হাই প্রোফাইল কোচ। তবে ‘সাবেক’ হওয়া স্ট্রিক-ওয়ালশ কতটা ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, কিংবা বাংলাদেশি পেসারদের ক্ষেত্রে গিবসনও বা কতটা কার্যকরী- সেই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
বাংলাভাষী বলে মুস্তাফিজের সাথে যোগাযোগটা হয়েছিল ভালো। সে কারণেই কাটার মাস্টারের এমন স্বতঃস্ফূর্ত পারফরম্যান্স কি না, সেই প্রশ্ন ওঠা অবান্তর নয়। সিদ্ধার্থ জানান, মুস্তাফিজকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তিনি, ‘আমি শুধু ওকে সাপোর্ট করে গিয়েছি। ফিজ হয়তো আমাকে এসে বলেছে, পিচে জুতো রেখে ইয়র্কার প্র্যাক্টিস করব, ব্যাটসম্যানকে বল করব না, তুমি দাঁড়িয়ে দেখো, মতামত দিও। আমি পর্যবেক্ষণ করে নিজের বিশ্লেষণটা ওকে বলেছি। তাতেই হয়তো ও উপকৃত হয়েছে।’
সিদ্ধার্থ অবশ্য মনে করছেন, তিনি শুধু মুস্তাফিজকে মানসিক সমর্থনটাই দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘কোচের কাজ হল শুধু মানসিক সমর্থনটা দেওয়া। একজন বোলার যদি নেটে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে বল করতে চায় আর আমি ওকে বাঁহাতিকে বল করাই, তাহলে হতাশা আসবেই। আমি শুধু সকলকে কমফোর্ট জোনটা দিতে চাই।’