ঢাকা : প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাসে ঢুকে গেছেন তামিম ইকবাল। টপকে গেছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে ৩১৩ রান করা রকিবুল হাসানকেও। ছাড়িয়ে গেছেন ৩১৯ করা শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাকেও। সেই সাথে এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান ছুঁয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে।
২০০৭ সালের ২১ মার্চ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন রকিবুল হাসান। জাতীয় লিগের ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে বরিশাল বিভাগের হয়ে ৩১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। প্রায় ১৩ বছর পর বিসিএলে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে পূর্বাঞ্চলের হয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন তামিম ইকবাল।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কুমারা সাঙ্গাকারা। এতদিন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। আজ শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তিকেউ ছাড়িয়ে গেলেন তামিম।
এদিন আরেকটি নজির গড়লেন এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। ছুঁয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকেও। ১৯৩০ সালে হেডিংলিতে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্র্যাডম্যান। তার ইনিংসটাও ছিল ঠিক ৩৩৪ রানের। ৫৮ বছর পর পেশোয়ার টেস্টে ব্র্যাডম্যানের সেই ইনিংসকে সম্মান জানিয়ে ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে যান মার্ক টেলর। এবার বাংলাদেশের তামিমও ৩৩৪ রানে অপরাজিত থাকলেন তামিম।
শনিবার মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দিন শেষে ২২২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন পূর্বাঞ্চলের এ ওপেনার তামিম ইকবাল। রবিবার দুপুরেই ইতিহাস গড়ে ফেলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। শুভাগত হোমের করা ১৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে ‘ট্রিপল’ সেঞ্চুরি পুর্ণ করেন তামিম। জাতীয় দলের এই ওপেনার ৩৩৪ রানে পৌঁছাতেই ইনিংস ঘোষণা দেয় পূর্বাঞ্চল। ৫৮৫ মিনিটে ৪২৬ বলে ৪২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তামিম। পূর্বাঞ্চলের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৫৫৫। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে তামিমকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।
পরে মিরপুর স্টেডিয়ামের ভিতরেই কেক কেটে তামিমের ট্রিপল উদযাপন করা হয়। কেকের ওপর লিখা ছিল বিসিবির লোগো আর তামিমের শট খেলার একটি ছবি। এরপর লেখা ছিল ‘আমরা তোমার অর্জন উদযাপন করছি, ৩৩৪ নট আউট’।
আগামীনিউজ/জেডআই