ঢাকাঃ হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের তেমন কোনো প্রভাব নেই রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায়। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন কম চলাচল করছে।
এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরপরই টহল দিচ্ছে সাঁজোয়া যান।
আজ রবিবার (২৮ মার্চ) সকালে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকাল ৯টায় মতিঝিল এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা তৌহিদ আগামী নিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মিছিল মিটিং বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় গণপরিবহন কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়িও বের করেননি। তাই সড়কে যানবাহন তুলনামূলক কম লক্ষ্য করা গেছে।
মতিঝিলে আসা বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা সাব্বির হাসান আগামী নিউজকে বলেন, বসুন্ধরা এলাকা থেকে এসেছি। অন্য দিনের মতো আজ সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়েছি। রাস্তা ফাঁকা, কোথাও যানজটে পড়তে হয়নি। সরাসরি মতিঝিল চলে এসেছি, ৩৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে প্রতিবাদে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীরা। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
ওইদিন বিকেল থেকে যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে রাতে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। পরে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এছাড়া নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেও হেফাজতের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চারজন নিহত হন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হন। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সদরের বিভিন্নস্থানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষোভের ঘটনায় আশিক (২০) নামে এক তরুণ নিহত হন।
এসব সহিংস ঘটনার পর শনিবার (২৭ মার্চ) দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে হেফাজতে ইসলাম। ওই কর্মসূচিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ১৩ জন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আগামীনিউজ/এএইচ