ঢাকা : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ধনী-গরিবের অনাবিল আনন্দের একটি উৎসব। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে এবারের ঈদ পেয়েছে ভিন্ন আমেজ। একদিকে মহামারী করোনা অন্যদিকে দেশের অনেকগুলো অঞ্চল বন্যা প্লাবিত। এসব কারণ ঈদের অনাবিল আনন্দকে বেশ খানিকটা ম্লান করে দিয়েছে।
গ্রামের ঈদ আনন্দে এবারে বেশি প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস। গ্রামীন জনপদের আর্থিক অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে। তাই প্রতিবার পশু কোরবানি দিলেও অনেকে এবার আর পেরে ওঠেনি। দীর্ঘ ৪ মাস দেশে করোনার ভয়াবহতায় অনেক মানুষেরই আয়ের চাকা ঘুরছে ধীরগতিতে।
এবারের কোরবানির ঈদ প্রসঙ্গে বালিয়াকান্দির মৌকুড়ীর মজিবর বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছর ছোট একটি পশু কোরবানি দিলেও এবার তা পারলেন না। করোনায় আয়-ইনকাম কমে যাওয়ায় ঠিকমতো সংসারই চলে না, সেখানে কোরবানি! কোনরকমে ছেলেটার একটা জামা কিনে দিয়েছি। ওই আমাদের ঈদ।
বালিয়াকান্দি সদরের হুমায়ুন ইসলাম জানান, এবার আর ঈদ, বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। অর্থ কষ্টে কোনও রকম দিন কেটে যাচ্ছে, এবার আমার কাছে ঈদ মানে বিলাসিতা। আল্লাহর কাছে চাওয়া একটাই এই করোনা থেকে আমাদের মুক্তি দাও। রাব্বুল আলামীন যেন আমাদেরকে এই করোনা নামক ভাইরাস থেকে হেফাজত করেন।
এবারে পশুর হাটগুলোতেও লক্ষ্য করা যায়নি তেমন ক্রেতার ভীড় বা কোরবানির পশুর দরদামের আমেজ। সব কিছু মিলিয়ে বলা যায় করোনা এবার গ্রামের ঈদ উৎসবের আনন্দে প্রভাব ফেলেছে।
আগামীনিউজ/এসপি