1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
রাজস্ব ঘাটতি ৮৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা

করোনা ও জনবলের অভাবে রাজস্ব আদায় নিয়ে সংশয়

তরিকুল ইসলাম সুমন প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২০, ১০:৫৬ এএম করোনা ও জনবলের অভাবে রাজস্ব আদায় নিয়ে সংশয়
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: সরকারের বাজেট ব্যয়ের প্রধান আয়ের উৎস হলো রাজস্ব আদায়। কিন্তু এ রাজস্ব আয় সঠিকভাবে করার জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। নানা সময়ে এ জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। জনবল বৃদ্ধি ও অফিস সম্প্রসারণের বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে বলে এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আয়কর ও কাস্টমস বিভাগ থেকে দুটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে নতুন আয়কর অফিস, ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউস গঠন-সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। কাস্টমস-ভ্যাটের নতুন  দফতর এবং আয়করের অফিস স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কাস্টমস-ভ্যাটে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আয়করে কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়।

সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশব্যাপী আয়কর অফিসের সংখ্যা ৪০টি। আয়কর বিরোধ ব্যবস্থাপনা ইউনিট, আয়কর যোগাযোগ, সেবা ও এস্টেট ইউনিট, ই-ট্যাক্স ব্যবস্থাপনা ইউনিট, আয়কর গোয়েন্দা, তদন্ত ও এনফোর্সমেন্ট ইউনিট, কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট, আন্তর্জাতিক কর ইউনিট এবং উৎসে কর ব্যবস্থাপনা ইউনিট নামে সাতটি বিশেষায়িত ইউনিট স্থাপন করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ ২০১১ সালে আয়কর বিভাগে সংস্কার-সম্প্রসারণ হয়েছে। এরপর আয়কর প্রশাসনে সংস্কার, সম্প্রসারণ হয়নি। সময়ের পরিক্রমায় আয়করের পরিধি বাড়লেও আগের অফিস ও জনবল দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এ কারণে সরকার যথাযথ রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থ বছরে যেখানে ৮ লাখ রিটার্ন জমা হতো এখন সেখানে প্রায় ২৩ লাখ রিটার্ন জমা পড়ছে। এরই ধারাবাহীকতায় ২০২৪ সালে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে। রিটার্ন জমা পড়বে ৫০ লাখের বেশি। আর ২০৩০ সাল নাগাদ রিটার্ন জমা পড়বে এক কোটি ২০ লাখের মতো। এত বিপুলসংখ্যক রিটার্ন প্রসেস করার জন্য বিদ্যমান আয়কর কাঠামোর সমক্ষতা নেই।
 
সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে ছয়টি কাস্টম হাউস আছে। এগুলো হল- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, ঢাকা কাস্টম হাউস, বেনাপোল কাস্টম হাউস, মোংলা কাস্টম হাউস, পানগাঁও কাস্টম হাউস ও কমলাপুর আইসিডি। এতে বর্তমানে দুই হাজার ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছে।

এনবিআর ও এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগে অনুমোদিত পদসংখ্যা ২২ হাজার ১২৩। জনবল রয়েছে ১৩ হাজার ৫৮২। আর শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৫০৮টি, দ্বিতীয় শ্রেণির দুই হাজার ১৮১টি, তৃতীয় শ্রেণির চার হাজার ৮৭১টি ও চতুর্থ শ্রেণির রয়েছে ৯৮১টি।

ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালে অনুমোদিত ১৫২ পদের বিপরীতে ৪৭টি শূন্য পদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির তিনটি, তৃতীয় শ্রেণির ২৬টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১৮টি। এর বাইরে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে ৬৫টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ২২টি। দ্বিতীয় শ্রেণির একটি, তৃতীয় শ্রেণির ১৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির রয়েছে তিনটি।

২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী মোট ব্যয়ের প্রস্তাব করেছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে ৪৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বা প্রায় ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে সংশোধিত বাজেট থেকে এটি প্রায় ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বা প্রায় ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।

বাজেটে অর্থমন্ত্রীর দেয়া ব্যয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন রাজস্ব আহরণ। এজন্য গত অর্থবছরের রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও রয়েছে সংশয়।

জনবল কাঠামো সংস্কার না করে কোনো ক্রমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আর্জন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (বোর্ড এনবিআর) মো. নূরুল আমিন আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, জনবল সংকটের কারণে রাজস্ব আহরণে সমস্যা হচ্ছে। তবে গত অর্থ বছরের জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলেও তা অনুমোদন হয়নি। তবে তিনি আশা করেন, সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল নিয়োগ করা হবে।  

এনবিআর সূত্র জানায়, সদ‌্যবিদায়ী (২০১৯-২০২০) অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৫০০ কোটি টাকার বিপরীতে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রকৃত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছিল।

আগামীনিউজ/টিআইএস/এমআর 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner