1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

করোনা নিয়ে বড় কোনো বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা

সাইফুল হক মিঠু প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২০, ০৮:১৪ পিএম করোনা নিয়ে বড় কোনো বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা

ঢাকা : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন। বিশ্বের অন্তত ১০২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। কেড়ে নিয়েছে হাজারো প্রাণ।

বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত তিনজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে থাকা ৪০ জনকে রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। এরইমধ্যে গণজামায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি কম।

তাঁরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়লে কমবে করোনার ঝুঁকি কেননা শীত ও শুষ্ক আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস টিকে থাকে ও বিস্তার ঘটে। আর গরম, আদ্রতা, বাতাস ও বৃষ্টিতে করোনাভাইরাসের টিকে থাকা ও বিস্তার সংকোচিত হয়ে আসে।

আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, মার্চের শেষের দিকে দেশে মৃদু তাপ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এপ্রিল ও মে’তে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি, তাপপ্রবাহ ও ঝড়-বৃষ্টি, এমনকি ঝূর্ণিঝড়ও হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, ‘২-৩ দিন পরে দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যাবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই হয়তো ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে আসবে।’

মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের গরম, আদ্রতা, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে দেশে করোনা বিস্তার ঘটাতে পারবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

এই প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাসার আগামীনিউজ ডটকমকে বলেন, ‘সাধারণত ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটে। প্রতিটি ভাইরাসেরই আদর্শ তাপমাত্রা আছে। তাপমাত্রা বাড়লে ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি কমে যায় বা বিস্তার কমে যায়। এ কারণে শীত প্রধান দেশ ও শীতের সময়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটেছে। আর সে কারণে চীন ও ইতালিতে যেভাবে করোনা ছড়িয়েছে ইরানে সেভাবে ছড়ায় নি।

কবিরুল বাসার আরো বলেন, ‘বাতাসে এই ভাইরাসটা ভাসমান থাকায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এটা দ্রুত ছড়ায়। ধরেন, হাঁচি-কাশির পর বাতাসে করোনা ভাসছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে করোনার সঙ্গে আর্দ্রতা মিশে যাবে। করোনাভাইরাস ও আর্দ্রতা মিশে গেলে সেটা ভারি হয়ে যাবে এবং মাটিতে পড়ে যাবে তাড়াতাড়ি। তখন করোনা বাতাসে ভাসবে কম। তখন এটা নাক, মুখ দিয়ে ঢুকার সম্ভাবনা কম থাকে। এ কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়লে করোনার সংক্রমণ কমবে।’

এছাড়া করোনায় আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘করোনা কোনো ডেডলি ডিজিজ না। এতে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের ও কম। বয়স্ক মানুষ যাদের শরীরে অন্যান্য অসুখ বেশি এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই বেশি মারা পড়ছেন এই ভাইরাসে।

করোনা প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, হাঁচি-কাশি রুমালে চেপে দেয়া ও ঠান্ডাজনিত অসুস্থতাকে অবহেলা না করার পরামর্শ কবিরুল বাশারের।

 

আগামীনিউজ/মিঠু/ডলি/সবুজ/মামুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner