1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মশার ওষুধের বাজেট বাড়ছে, বাড়ছে কিউলেক্সের দাপটও

দেলোয়ার মহিন প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, ১০:২৬ পিএম মশার ওষুধের বাজেট বাড়ছে, বাড়ছে কিউলেক্সের দাপটও

রাজধানীতে এডিসের পর বেড়েছে কিউলেক্স মশার উৎপাত। ঘরে-বাইরে বাসা কিংবা অফিস সব জায়গাতেই সমান তালে মশার প্রভাব। আর এই মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরজীবন। তবে মশক নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের নামমাত্র ওষুধ ছিটানো ছাড়া তেমন কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

গত বছরের জুলাই মাস থেকে রাজধানী ছিল এডিস মশার দখলে। এবার এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশারও প্রাদুর্ভাব। এই কিউলেক্স মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের এমন হাল ছাড়া দায়িত্ব পালনের ফলে এবার হতে পারে জাপানিজ এনসেফালাইটিসের মতো মারাত্মক রোগ। এমটাই আশঙ্কা করছেন রাজধানীবাসী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, ঢাকায় আমরা সার্ভে করে দেখেছি শীতকালে মাত্র ১-২ শতাংশ থাকে এডিস মশা, বাকি ৯৮-৯৯ শতাংশই থাকে কিউলেক্স মশা। তাই এ মশার ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

রাজধানীবাসীর অভিযোগ, মশক নিধন কর্মীদের মাঠে তেমন দেখা যায় না। ডেঙ্গু যখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল সে সময় মশক নিধন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিচালিত হলেও পরে তা ঝিঁমিয়ে পড়েছে। অথচ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘোষণা দিয়েছিল ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কাজ করবে তারা। তবে তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পরছে না নগরবাসীর।

সিটি করপেরেশন সূত্রে যানা যায়, চলতি অর্থবছরে দুই সিটিতে মশা নিধন কর্মসূচি হাতে নিয়ে বাড়ানো হয়েছিল বাজেটও। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বাজেটে মশা নিয়ন্ত্রণে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে এবারে ৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবারের বাজেটে মশা নিয়ন্ত্রণ খাতে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।

নগরবাসীর অভিযোগ, বাজেট বাড়লেও মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের উল্লেখযোগ্য তেমন কার্যক্রম দেখা যায় না। বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা হলেও তা সঠিকভাবে বান্তবায়ন হয় না।  

রাজধানীবাসী মশায় অতিষ্ট, নাগরিকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মমিনুর রহমান মামুন বলেন, কিউলেক্স মশার অন্যতম প্রজননস্থল সরু নর্দমাগুলোতে মশার ওষুধ ছিটানো যায় না। সেখানে কীভাবে কাজ করব সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন সংস্থার জলাধারে কচুরিপানা আছে, যেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে ব্রুটো ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলেই বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছি।

মশক নিধন কার্যক্রমে কেন এমন অবহেলা এমন প্রশ্নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, মশার উৎস নির্মূলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। চলছে সপ্তাহব্যাপী স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া এবং নিজ নিজ বসতবাড়ি, আঙিনা ও এর আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আর মশা নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

আগামীনিউজ/মহিন/মামুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner