ঢাকাঃ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাফিক পুলিশে দেখা গেল দুই আইন। বীর মুক্তিযোদ্ধার লোগো লাগানো গাড়ি রাস্তার মাঝে পার্কিং করে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। তবুও ট্রাফিক পুলিশের চোখে পড়েনি সেই গাড়িটি। তবে একই জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির ক্ষেত্রে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নেওয়া হয়েছে র্যাকার ভাড়ার জরিমানা। এটা একদিনের চিত্র না প্রতিদিনের।
বলছি ঢাকা জজ কোর্ট, সিজিএম এবং সিএম কোর্টের সামনে সড়কে কথা। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাঝখানে বীর মুক্তিযোদ্ধার লোগো লাগানো একটি গাড়ি করা হয়েছে পার্কিং। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। অথচ সড়কের মোড়ে মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যে সংস্থার উপর, সে ট্রাফিক পুলিশের তেমন চোখে পড়েনি সেই গাড়িটি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তবে একই জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি দাড়ানো মাত্রই সব বৈধ কাগজপত্র থাকলেও র্যাকার ভাড়া বাবদ জরিমানা নেওয়া হয় সর্বনিম্ন ৭৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা।
একাধিক গাড়ি চালক ও মালিকদের অভিযোগ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন নানা ব্রান্ডের গাড়ি কারণে-অকারণে থামিয়ে কাগজপত্র চেকসহ বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করছে ট্রাফিক পুলিশ। এতে আবার অনেক গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটক রাখায় যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। তবে রাস্তায় বিভিন্ন সাইনবোর্ড সম্বলিত গাড়ি, লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনগুলো তাদের চোখে পড়ছে না।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশে দ্বায়িত্ব রত কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এসএস