1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

যাদের জুমার নামাজ কোনো কাজে আসে না

ইসলাম ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম যাদের জুমার নামাজ কোনো কাজে আসে না
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ জুমার নামাজের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত থাকা সত্ত্বেও অনেকের জুমার নামাজ কোনো কাজে আসবে না বলে সাবধান করা হয়েছে হাদিসে। মূলত  তারা হচ্ছেন জুমার আদব লঙ্ঘনকারী। 

জুমার দিনের আদব হলো- আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সুন্দরভাবে নিঃশব্দে মসজিদে গিয়ে যেখানে জায়গা থাকবে সেখানে অবস্থান নেওয়া; সময় থাকলে সুন্নত নামাজ পড়া এবং কাউকে কষ্ট না দিয়ে, কারো ঘাড় টপকে সামনে না গিয়ে চুপচাপ ইমামের খুতবা শোনা এবং নামাজ পড়া। কিন্তু যারা এর ব্যতিক্রম করবে; তাদের নামাজ হবে অর্থহীন। হাদিসে পাকের একাধিক বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে।

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘জুমার সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুমায় হাজির হয় সেখানে দোয়া মোনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুমায় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুমার মধ্যবর্তী ৭ দিনসহ আরো তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেন।’ (আবু দাউদ: ১১১৩)

উল্লেখিত হাদিস অনুযায়ী, তামাশাকারীরা বিনিময়ে তামাশাই পাবে। ইমামের খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, মুসল্লিদের টপকে সামনে আগানো ইসলামে খুবই অপছন্দনীয় কাজ। তারা জুমা থেকে ফায়দা নিতে পারে না।

ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে প্রিয়নবী (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে ইমামের খুতবার সময় কথা বলে, সে যেনো পুস্তক বহনকারী গাধার মতো! অন্যত্র তিনি শুনেছেন- তার কোনো জুমা নেই (অর্থাৎ তার জুমা বরবাদ হলো) (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ২/১৮৪, হাদিস: ৩১২৩, ৩১২৫)

অন্যদিকে জুমাকে গুরুত্ব দানকারী ব্যক্তিদের সম্পর্কে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করে, সুগন্ধি থাকলে তা ব্যবহার করে, জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়, নির্ধারিত নামাজ আদায় করে, ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে তার এই আমল আগের জুমা থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব ছোট পাপ মোচন হবে।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩)

অন্য হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল (ফরজ বা সাধারণ গোসল), তাড়াতাড়ি মসজিদে গেল বা যাওয়ার চেষ্টা করল, যাওয়ার পথে কোনো কিছুতে আরোহণ না করে হেঁটে গেল, ইমামের কাছে ঘেঁষে বসল, কোনোপ্রকার অহেতুক কথাবার্তা না বলে মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শুনল এবং নামাজ আদায় করল, তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে এক বছর রোজা ও নামাজের সওয়াব দেওয়া হবে।’(তিরমিজি: ৪৫৬)

মুসলমানদের জন্য জুমার দিন হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনটি বিশেষ আমল করার ও ফজিলত অর্জনের দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৮)

তাই মুসল্লিদের জন্য মনোযোগ ও গুরুত্বের সঙ্গে জুমার আদব রক্ষা করা উচিত। পাশে কেউ কথা বললে তাকে ‘চুপ করো’ বলতেও নিষেধাজ্ঞা এসেছে হাদিসে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের সাথীকে বলো- চুপ করো, তাহলে তুমি একটি অনর্থক কাজ করলে। (সহিহ বুখারি: ৯৩৪, সহিহ মুসলিম: ৯৩১)

সুতরাং মুসলমানের উচিত, জুমার দিনে পরিপাটি হয়ে নামাজ পড়তে গিয়ে যথাযথ আদব রক্ষা করে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিশ্চুপ থাকা, ইমামের খুতবা শোনা এবং জুমার নামাজ পড়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner