1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ভোর থেকে ঢাকায় ভয়াবহ যানজট, সড়কে ঘাম ঝরছে যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২, ১০:৪০ এএম ভোর থেকে ঢাকায় ভয়াবহ যানজট, সড়কে ঘাম ঝরছে যাত্রীদের

ঢাকাঃ ঈদুল আজহায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে বাস কাউন্টারগুলোতে। কিন্তু ভয়ঙ্কর শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার বাস ছেড়েছে ভোর ৪টায়, সকাল ৬টার বাসের দেখা মেলেনি সকাল ৯টা পর্যন্ত। সকাল ৮টার বাসের যাত্রীদের কোনো কোনো পরিবহন ফোন করে বিকেলে আসতে বলেছেন।

রাজধানীর কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে ভোগান্তিতে পড়া যাত্রী ও কাউন্টার সূত্রে ঈদযাত্রার এ চিত্র পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়কে দীর্ঘ যানজট। ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা পর পর নড়ছে গাড়ির চাকা। ঢাকায় ঢুকতে ও বের হতে দু’পথেই রয়েছে তীব্র যানজট।  

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঈদ করতে শুক্রবার সকালে বরিশালের গ্রিন লাইন ওয়াটার বাসের টিকিট নিয়েছিলেন সাংবাদিক আমীন আল রশীদ। সকাল ৮টায় সদরঘাট থেকে এটি ছেড়ে গেছে বরিশাল। পান্থপথ থেকে ঠিক ৬টায় বের হয়ে পড়েন তীব্র যানজটে। প্রায় দুই ঘণ্টায় ঢাকা মেডিকেল এলাকায় পৌঁছাতে পেরেছেন তারা। কোনোভাবেই সময়মতো ঘাটে পৌঁছাতে পারবেন না জেনে তাই বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন তিনি।

শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে তাই কষ্টের কথা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন আমীন আল রশীদ।

লিখেছেন, পান্থপথ থেকে ভোর ৬টায় রওনা হয়েও ৮টায় সদরঘাটে পৌঁছাতে পারিনি। বাড়ি যাওয়ার জন্য গ্রিন লাইন ওয়াটার বাসে টিকিট কাটা ছিল। বউ বাচ্চাসহ বাসায় ফিরে এসেছি। জীবনে এই প্রথম এরকম অভিজ্ঞতা হলো।

পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই উন্নয়নের ফল যে কে ভোগ করছে, সেটাই প্রশ্ন। ১০ কিলোমিটার পথ এই শহরে দুই ঘণ্টায়ও পৌঁছানো যাবে না। কী অদ্ভুত!’

শুক্রবার ভোর থেকে এমন যানজটের কবলে পড়েছেন ঢাকা থেকে বের হতে যাওয়া একাধিক রুটের যাত্রীরা। কেউ আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন ফ্লাইওভারে। কেউ আবার সদরঘাটের পথে বসে আছেন গাড়িতে। 

এদিকে ঢাকার বাইরে বিশেষ করে উত্তরের পথে তীব্র যানজটে নাকাল হয়েছেন যাত্রীরা। গাবতলী থেকে বের হয়ে কেউ সাভার পার হওয়ার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে আছেন। মহাখালী থেকে বের হয়ে আব্দুল্লাপুর পার হয়েও অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সে তুলনায় দক্ষিণের রুটের অবস্থা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভালো থাকলেও শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ভোগান্তি। নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে বাসও আসতে পারছে না বলে জানা গেছে।

শেখ মামুন নামের একজন সকাল সোয়া ৯টার দিকে লিখেছেন, সায়েদাবাদ থেকে গোপালগঞ্জগামী গাড়ি সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা এখনও গাড়ি আসেনি!

পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ করতে নিজের গাড়িতে করে রওনা হয়ে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভারে এক ঘণ্টার বেশি আটকে থাকার কথা জানালেন মো. শাফায়াত উল্লাহ।

ফ্লাইওভারে বসে যানজটের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে শাফায়াত লিখেছেন, ঢাকা শহরের মূল যানজটের কারণ এই ফ্লাইওভার। নিচের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা রেখে ওপরের ফ্লাইওভারের দরকার কি? কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি জরুরি। কারণ পদ্মা সেতুতে ঢাকা থেকে বের হওবার একমাত্র রাস্তা হলো এটি।

নগদের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সজল সাত সকালে আটকা পড়েছেন হানিফ ফ্লাইওভারে। দুর্ভোগের কথা জানিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, স্বপ্ন বাড়ির পথে রওনা করেও নীমতলিতে আটকে আছে। হানিফ ফ্লাইওভারেই উঠতে পারছে না স্বপ্নটা। পদ্মা সেতু তো দূরস্ত।

ঢাকা থেকে বের হতে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসক সাইফুল আজম রঞ্জু। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৫টায় রওনা দিয়ে ঢাকা ছাড়তে অনেক সময় লেগেছে। পরে এক্সপ্রেসওয়েতেও যানজটে পড়েছি। সব মিলিয়ে সাড়ে ৯টা বেজেছে মাদারীপুর পৌঁছাতে। পটুয়াখালী যেতে কয় ঘণ্টা লাগবে জানি না।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওমেটিক বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আশিকুর রহমান ন্যাশনাল ট্রাভেলসে যাবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সেজন্য গতরাত ১১টায় টিকিটও কেটেছেন। কিন্তু সারারাত বসে থেকেও বাসের দেখা পাননি তিনি। বেশিরভাগ যাত্রীই একই অবস্থায় পড়েছেন। গতকাল রাত থেকে কোনো বাসই যথাসময়ে ছেড়ে যায়নি।  

কল্যাণপুর হানিফ কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা মো. আলম বলছেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা। গতকাল রাত ১২টার বাস গেছে ভোরে। আমি সকালে আসছি। সকাল ৭টার বাস ঢাকাতেই ছিল। সেটা ছেড়েছি, কিন্তু খবর নিলাম, আড়াই ঘণ্টাতেও সে বাস গাবতলী পার হতে পারেনি। এরপর থেকে কোনো বাস যথাসময়ে আমরা ছাড়তে পারিনি। 

এসআর পরিবহনের কল্যাণপুরের টিকিট বিক্রেতা মো. জিয়া বলেন, চন্দ্রা থেকে ঢাকায় পৌঁছতে সময় লাগছে ১২ ঘণ্টা। তাহলে যথাসময়ে বাস ছাড়বো কী করে। ভোগান্তি যাত্রীদের, ভোগান্তি আমাদেরও। কিন্তু কোনো উপায় নেই। এই যে দেখেন সড়কে গাড়ির চাকা ঘুরছে না। শ্যামলী থেকে কল্যাণপুর আড়াই ঘণ্টা। 

এমবুইউ 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner