1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

প্রবাসীর বোবা কান্না

প্রবাস ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১১:০২ এএম প্রবাসীর বোবা কান্না
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ বিদেশে থেকে টাকা পাঠালে দেশে ধনী হওয়া যায়। কিন্তু কেউ কি জানেন, কী একটা না বলা যন্ত্রণা নিয়ে প্রবাসীরা জীবন কাটায়। কেউ কি জানে তাদের বুকের মধ্যে কীসের বেদনা নিত্য আহত করে চলছে? কেউ কি খবর রাখে কতটা নিম্নমানের তাদের জীবনযাপনের মানদণ্ড। কেউ জানেন না, প্রবাসীদের বেদনা, কান্না, কষ্ট ও পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশ। প্রবাসীর না বলা যন্ত্রণা বোবা কান্নার খোঁজ কে বা রাখে। না রাষ্ট্র না সমাজ, বন্ধু আত্মীয় স্বজন।

আমাদের দেশের অনেক ভাইয়েরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এসে কেউ ইট ভাঙার কাজ, কেউ হাঁড়ি-পাতিল ধোয়ার কাজ, কেউ রান্নাবান্নার কাজ, কেউ সবজি বেচাকেনার কাজ, কেউ মাংস কাটার কাজ, কেউ বাড়ি-ঘর বা অফিস আদালত ধোয়ামোছা বা পরিষ্কার করার কাজ, আবার কেউ ট্যাক্সি চালানোর মতো কঠিন কাজ করে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তাদের বুকের মধ্যে যে বোবা কান্না তা তারা কোনো দিনই প্রকাশ করতে পারছেন না। অনেকেই বহু দিন ধরে বিদেশে থেকে থেকে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। এখন তারা আর দেশে ফিরে যেতে চান না। তারা বিদেশেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাই তারা একটি সিটিজেন নামক কাগজ পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন প্রতীক্ষা করছেন। তাদের জীবনের সব হাসিকান্না ওই একটি কাগজের মধ্যে লুকিয়ে আছে। তারা মনে করেন, নিজের জীবনের সব আনন্দ-বেদনার বলিদানের ফল হিসেবে আগামী প্রজন্মের জন্য সিটিজেন নামক একটি দলিল অর্জন করার চেয়ে আর কী সফলতা হতে পারে? কিন্তু এই দলিলের মধ্যে যে বেদনা, কষ্ট, না পাওয়ার যন্ত্রণা, অনেক প্রিয়জন ও কাছের মানুষ হারানোর অসহ্য কান্নার অশ্রু জল মিশ্রিত আছে তা হয়তো কোনো দিনই কেউ জানতে চাইবেন না।

আমাদের অনেকেই আছেন যারা অতি প্রিয়জন, এমনকি মা-বাবা মারা গেলেও সন্তান হিসেবে লাশটি কাঁধে নেয়ার  সুযোগটুকুও পাই না। আবার কখনো শেষ দেখাটি করতে দেশে যেতে পারি না। কী যে বুক ভাঙা কষ্ট। কাউকে বলতে পারি না। আবার যখন সারা দিন আধা পেট খেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে ঘরে ফিরি, যখন শরীর আর চলে না, শ্রান্তি এসে চোখের দুই পাতা বুজে দিয়ে ঘুমের কোলে আশ্রয় নিতে চায়, তখন মনে পড়ে মায়ের কথা, প্রিয়জনদের কথা—আহা কি কষ্ট! এখন যদি মা অথবা প্রিয় বোনটি অথবা যদি প্রিয় স্ত্রী-সন্তান কাছে থাকত। তাহলে হয়তো আদর করে বলত, হাত-মুখ ধুয়ে আসো, গরম-গরম খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো। বেশি ক্লান্তি মনে হলে কাল আর কাজে যেতে হবে না, আমাদের বেশি টাকার দরকার নেই। কী যে মধুর সান্ত্বনা বাক্য। যা সারা দিনের সকল কষ্টকে নিমেষেই দূর করে দেয়।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner