দেশে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে এই করোনার মধ্যেও।বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। কোরবানি ঈদের কারণে গত জুলাইয়ে রেকর্ড ২৬০ কোটি ডলার আয় এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তার ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ হাজার ৯০০ কোটি বা ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জুলাই ও আগস্ট মাস মিলিয়ে দেশে ৪৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের আয় এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা ভালো আয় পাঠাচ্ছেন। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় উঠেছে।
করোনার মধ্যেও ভালো প্রবাসী আয় আসার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা নানা তথ্য তুলে ধরছেন। ব্যাংকাররা বলছেন, অনেকে জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অনেক দেশে করোনার কারণে বিশেষ ভাতাও পেয়েছেন প্রবাসীরা। সেসব অর্থ তাঁরা দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আবার প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পেতে দেশের টাকা দেশে আসছে কি না, এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন ব্যাংকার।বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সেই অনুযায়ী গত বছরের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। আবার সারা দেশের ব্যাংক শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও এনজিওগুলোর মাধ্যমে তা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের কাছে।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনার কারণে অনেক প্রবাসীকে দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে। তারা সঞ্চয় ভেঙে দেশে আনছেন। দেশফেরত এসব মানুষকে কাজে লাগানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ।জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠান। সব মিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠান, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।রিজার্ভ এসেছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার।এদিকে প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯১৫ কোটি ডলারে। ফলে করোনাভাইরাসের মধ্যে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে রিজার্ভ। আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায়ও রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আগামীনিউজ/মিথুন