1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

বিএনপির এক দফা বিদেশিদেরও সমর্থন পায়নি: হাসান মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম বিএনপির এক দফা বিদেশিদেরও সমর্থন পায়নি: হাসান মাহমুদ
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত বুধবার বিদেশিদের দেখানোর উদ্দেশ্যে পল্টনে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশে বিএনপির দেয়া এক দফা হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদেরও কারো সমর্থন পায়নি।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ইউজি ক্যাম্পাসে কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আশা করেছিল বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, এটা কেউ বলেনি। কারো সঙ্গে কোনো আলাপে প্রসঙ্গটাই আসেনি। আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত পরশু বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১ দফা, পরের দিন দেখলাম ৩১ দফা, আসলে বিএনপির কয় দফা এটা নিয়েই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। বিএনপির যে এক দফা, এটাও ওনারা কিছুদিন পরপর, বছরান্তেই এক দফা আন্দোলন বলে। ২০১৩ সাল থেকেই এক দফার আন্দোলন শুনে আসছি। এটি হচ্ছে সাপের খোলস বদলানো এবং একই ঢোল বারবার বাজানোর মতো। সাপ যেমন কদিন পরপর খোলস বদলায়, বিএনপিও সাপের খোলস বদলানোর মতো বছরান্তে এক দফার কথা বলে, এতে নতুনত্বের কিছু নেই।

নতুনত্ব যেটি আছে, সেটি হচ্ছে তারা উন্মুখ হয়ে বসেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যখন আসবে তখন তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিদেশিদের দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নয়াপল্টনের সামনে পুরো রাস্তাজুড়ে বড়জোর ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয় আরও ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে তো বেশি মানুষ হয়নি সেখানে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২ ঘণ্টার নোটিশে তিনটা রাস্তাজুড়ে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করেছে। সবাই দেখেছে কত বড় সমাবেশ আওয়ামী লীগ করার ক্ষমতা রাখে।

সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয় সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারে, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাব।

এর আগে, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অন্যান্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের কিছুটা তফাৎ রয়েছে। কারণ এখানে অনেক দেশের শিক্ষার্থী পড়তে আসে এবং এর ফলে এখানে বৈচিত্র রয়েছে। এখানে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে এবং এখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ ফ্রি পড়ার জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে, চার বছর পড়াশোনার পর কোর্স সমাপ্ত করে একজন শিক্ষার্থীর ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। আপনারাই এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে এই পরিবর্তন সৃষ্টি করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আছি। বিশ্বের প্রথম শিল্প বিপ্লব ছিল স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কার। এর একশ বছর পরে ভারতবর্ষে রেল চালু হয়। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ছিল কম্পিউটার আবিষ্কার। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হচ্ছে আইসিটি বা রোবটিক জগতে প্রবেশ।

তিনি বলেন, আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান নির্বাচনের ইশতেহার হিসেবে উত্থাপন করেছি। ভারত ও যুক্তরাজ্য করেছে ২০১১ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৮ কোটি মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার হয়, যদিও আমাদের জনসংখ্যা আরও কম। কিন্তু একজন একাধিক সিম ব্যবহারের কারণে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে কেউ পরিবারে টাকা পাঠাতে চাইলে তা এক ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব। কুতুবদিয়া, মহেশখালী কিংবা শাহপরীর দ্বীপের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থীও ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করে তুলছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও এই ভার্সিটিতে তৈরি হয়ে উঠছেন। এখন আপনারা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করতে পারেন, যা শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যক্ষ শামস ফররুখ আহমেদ ও অনলাইনে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. রুবানা হক ও প্রফেসর শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানশেষে কোর্সের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।


এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner