ঢাকাঃ আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে গণসমাবেশ করা অনুমতি দেওয়ার হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল কমলাপুর স্টেডিয়ামে গণসমাবেশ করবো। সেখানে যেহেতু খেলা চলছে এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের বললো অন্য একটা জায়গায় বিবেচনা করতে পারেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছি। উনারা (ওনারা) বলেছেন, বিষয়টি লিখিতভাবে উনাদের জানাতে বলেছেন। আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি। এরপর উনারা ওই জায়গায় গণসমাবেশ করার জন্য বলেছেন।
নয়াপল্টনে গণসমাবেশ করতে পারলেন না এটা রাজনৈতিক পরাজয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ হচ্ছে। আমাদের যেটা প্রত্যাশা ছিল যে আমরা কমলাপুর স্টেডিয়ামে করবো। খেলার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গ্রেফতার হয়েছে কি না এ বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশের দৈনন্দিন কার্যক্রমের অংশ। আমরা আদালতে মোকাবিলা করবো। আইনগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।
এরইমধ্যে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতে একজন নিহতও হয়। সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ এবং ওই এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হটিয়ে দিয়ে নিজেরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাথে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তারা নয়াপল্টনের পরিবর্তে ঢাকার কমলাপুরে স্টেডিয়ামে সমাবেশের প্রস্তাব দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুরের বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এসবের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নেওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ডিবি তাদের আটকের কথা স্বীকার করে। আর দুপুর আড়াইটার পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বুইউ