ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ও এ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা চায় সঙ্ঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর। উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ তারা চায় না।
ওবায়দুল কাদের রোববার (১ আগস্ট) সকালে তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল, তাদের অপমৃত্যু হয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি, ক্ষমা করেও না।
তিনি বলেন, এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিলো, যারা বেনিফিশিয়ারী তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিন নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলমান করোনা সঙ্কটে অসহায়, দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন করা হবে। তার রূহ শান্তি পাবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ১৫ আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে। তিনি বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন। একইসাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণও।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের দ্রুত কাজে যোগ দেয়ার নোটিশ দিয়েছে। এতে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে লোকজন রাজধানীমুখী হচ্ছে। তাতে সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে।