ঢাকাঃ সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খানিকটা চুপসে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। যার কারণে অনেকেই ভাবছেন যেকোনো মুহূর্তেই রাজনীতি ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
যদিও খালেদা জিয়ার রাজনীতি ছাড়ার বিষয়ে দলের মধ্যে থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির একটি অংশ বলছে, তারেক রহমান বিএনপির পূর্ণ কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে চান। একক সিদ্ধান্তে দল পরিচালনা করতে চান।
অন্যদিকে খালেদা জিয়া দলের চেয়ারপার্সন থাকার কারণে বিএনপির একটি বড় অংশ, বিশেষ করে খালেদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অনেকেই তারেক রহমানের নির্দেশ মানতে জোর আপত্তি জানিয়েছেন।
এর ফলে তারা দলের মধ্যে নানারকম বিভাজন তৈরি করছে। এছাড়া খালেদা জিয়া অসুস্থ ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ কারণেই আপাতত রাজনীতি থেকে তাকে অবসরে পাঠানোর পরিকল্পনা ও রয়েছে।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার অবসরের বিষয়টি সম্পূর্ণ একটি সমঝোতার অংশ। তাকে জামিনে মুক্ত করার জন্যই এ পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্র মতে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠানোর জন্য আপাতত রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করতে হবে। আরে এজন্য পরিবারের মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তিনি এমনিতেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখছেন না। বিগত ৪ বছরে খালেদা জিয়া কর্তৃক বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে তিনি থাকা, আর না থাকা একই কথা।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়াকে আগামী কোরবানি ঈদের আগে মুক্ত করার একটি পরিকল্পনা নিয়ে তারা সামনে এগোচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি লড়াই অব্যাহত রয়েছে। খালেদা জিয়ার আরো দুটি মামলায় জামিন বাতিল রয়েছে।
জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া এখন কারামুক্তির জন্য সবকিছুই করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
তবে বিএনপির অন্য একজন নেতা বলেন, খালেদা জিয়া যে রাজনীতি ছাড়ছেন, এটি নিশ্চিত। এটি সরকারের চাপ নয় বরং তারেক রহমানের চাপে পড়েই।
আগামীনিউজ/এএস