ঢাকাঃ হেফাজতের ডাকা হরতালে রাজধানীতে অন্তত ৫০০ গাড়ি পোড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল বিএনপি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযানে বিএনপির এই নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
পুলিশ সূত্র বলছে, বাসে আগুন লাগানোর অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী আটক হয়েছেন। বিএনপি নেত্রী নিপুণ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক কেরানীগঞ্জে বাস পোড়ানোর কাজ করেছেন। সেই সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আরমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
হামলার ঘটনা স্বীকার করে আরমান জানান, শুধু কেরানীগঞ্জ নয় সমগ্র বাংলাদেশে বাস পোড়ানোর লক্ষ্য ছিল বিএনপির। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে তা সম্ভব হয়নি।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, সন্ত্রাসী আরমানের সঙ্গে মাত্র ৫ লাখ টাকায় ৫০০ গাড়ি পোড়ানোর চুক্তি করে বিএনপি। বিএনপির কিছু নেতা তারেক রহমানের পাঠানো এই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করেন। আর আরমানকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়ায় আরমান পুরো কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। সঙ্গে নিপুণ রায়ের ফোনালাপ ফাঁস হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপিপন্থী এক বুদ্ধিজীবী বলেন, মানুষের এতো কষ্টের টাকা দিয়ে ক্রয় করা গাড়ি পুড়িয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে, মানুষের জানমাল নয় তাদের কাছে ক্ষমতাই মুখ্য বিষয়।
আগামীনিউজ/এএস