1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রাত পোহালেই ভোটের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২০, ০৫:৪৫ পিএম রাত পোহালেই ভোটের লড়াই

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ( ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। দুই সিটির সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে। 

এবারই প্রথম ব্যালট পেপার ছাড়া ভোট দিবে ঢাকাবাসী। এরই মধ্যে সব ভোটেকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে প্রায় ৩৫ হাজার ইভিএমসহ অন্যান্য নির্বাচনী সরঞ্জাম।

সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বেশ আশঙ্কা, উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে সহিংসতা করার জন্য রাজধানীর বাইরে থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছে বিএনপি। বিপরীতে বিএনপির অভিযোগ, নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মাধ্যেম জয় ছিনিয়ে নিতে চায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখল ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলছেন, তারা কারও সহায়ক না, কারও পক্ষে বা বিপক্ষে না। আইন তাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন।

আর ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ খুবই ভালো। তার আশা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সিটি ভোট সম্পন্ন হবে।

দুই সিটি ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৩১ ডিসেম্বর ছিল দুই সিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।

নতুন বছরের ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ জানুয়ারি। ১০ জানুয়ারি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হবার কথা ছিল ৩০ জানুয়ারি। তবে সেই দিন সরস্বতী পূজা পড়ায় ভিন্ন ধর্মালম্বী ও ছাত্রদের দাবির মুখে ভোটের তারিখ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় ইসি।

একনজরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন:

উত্তর সিটি:

ভোটকেন্দ্র: ১ হাজার ৩ শত ১৮

ভোটকক্ষ: ৭হাজার ৮ শত ৪৫

মোট ভোটার: ৩০ লাখ ১০ হাজার ২ শত ৭৩

পুরুষ ভোটার: ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫ শত ৬৭

নারী ভোটার: ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭ শত ৬

মেয়র প্রার্থী: ৬

সাধারণ কাউন্সিলর: ২ শত ৫১

সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর: ৭৭

দক্ষিণ সিটি:

ভোটকেন্দ্র: ১ হাজার ১ শত ৫০

ভোটকক্ষ: ৬ হাজার ৫ শত ৮৮

মোট ভোটার: ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১ শত ৯৪

পুরুষ ভোটার: ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪ শত ৪১

নারী ভোটার: ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭ শত ৫৩

মেয়র প্রার্থী: ৭

সাধারণ কাউন্সিলর: ৩ শত ২৬

সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর: ৮২

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪১ হাজার ৯৫৬ জন

ইসি সূত্র আরো জানায়, দুই সিটিতে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্য থাকছেন ৪১ হাজার ৯৫৬ জন। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১২৯টি মোবাইল ফোর্সে থাকবেন ১ হাজার ২৯০ জন, ৪৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবেন ৪৩০ জন, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সে থাকবেন ৫২০ জন। এ ছাড়া দুই সিটিতে ৬৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন রয়েছেন। তাদের মধ্যে উত্তরে থাকবে ২৭ প্লাটুন এবং দক্ষিণে থাকবে ৩৮ প্লাটুন বিজিবি। প্রতি দুইটি সাধারণ ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন করে বিজিবি থাকবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র:

দুই সিটির অর্ধেকের ও বেশি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

উত্তরে ১ হাজার ৩ শত ১৮ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৭৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ। আর দক্ষিণে ১ হাজার ১ শত ৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৭২১টি।

ইসি জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ৬ জন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই ও ৫ জন এএসআই, কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার এবং ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন ও ৬ জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ চারজন পুলিশ (এসআই/এএসআই একজন ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার, ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।

পর্যবেক্ষক:

নির্বাচনে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ১৩ জন দেশি পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। তাদের মধ্যে উত্তর সিটিতে ৫০৩ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৪৫৭ জন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে ৫৩ জন পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণ করবেন। আর বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন মোট ৭৪ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক। তাদের মধ্যে ৪৬ জন বিদেশি নাগরিক এবং ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

বিধিনিষেধ:

রাজধানীতে ইতিমধ্যে (৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে) মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়েছে এ ভোট উপলক্ষে। আজ (শুক্রবার) রাত ১২টার মধ্যে বন্ধ হবে সবধরনের যান চলাচল। এ ছাড়াও আজ ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে।

ফলাফল ঘোষণা:

বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবার পর প্রত্যেককেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পরবর্তীতে সম্মিলিত উত্তর সিটির ফলাফল ঘোষণা হবে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দক্ষিণ সিটির ফলাফল ঘোষণা হবে সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমীতে।

আগামীনিউজ/এমএস/এনএ  

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner