ঢাকাঃ শিক্ষা, সেবা, মানবতা, জলবায়ূ পরিবর্তন, এসডিজিএস সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান 'সবার পাঠশালা' করোনা সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ 'পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ অবদান' শাখায় জাতীয় পর্যায়ে সেরাদের সেরা দশের মধ্যে থেকে 'শেখ হাসিনা ভলান্টিয়ার ইয়্যূথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০' অর্জন করে 'সবার পাঠশালা'।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারীদের মাঝে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। 'সবার পাঠশালা'র প্রতিনিধি হিসেবে 'শেখ হাসিনা ভলান্টিয়ার ইয়্যূথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০' গ্রহন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও 'সবার পাঠশালা'র প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক গোপাল রায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ডিসেম্বর) রাতে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এমপি, ওআইসি ইয়্যুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট ত্বাহা আইহান, মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া ও কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ, রাশিয়ান ফেডারেশনের অধীন তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী তিমুর সোলেমানভ প্রমুখ।
'সবার পাঠশালা'র প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক গোপাল রায় বলেন, 'করোনা সংকট সময়ে সবার পাঠশালা শিক্ষা, সেবা, মানবতা, জলবায়ূ পরিবর্তন, এসডিজিএস সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের বন্ধু বই নিয়ে যেমন আমরা কাজ করেছি বা করছি ঠিক তেমনি প্রকৃতির বন্ধু গাছ নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি আমরা। করোনা সংকটের সময় আমরা মানুষের মুখে সামন্য হলেও খাদ্য তুলে দেওয়ার প্রচেস্টা করেছি, ঠিক তেমনি ১০ হাজার বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির খাদ্যও যোগান দেওয়ার প্রচেস্টা করেছি আমরা। তার ফলস্বরূপ আজ আমাদের এ অর্জন। আশা করা যায় এ অর্জন আমাদের অপ্রতিরোধ্য করে, অনুপ্রেরণার সারথি হয়ে সামনে আরো এগোনোর সাহস যোগাবে।'
'সবার পাঠশালা'র আরেক প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক দীপঙ্কর কর্মকার বলেন, 'সবার পাঠশালা' এত বড় অর্জনে শ্রদ্ধেয় উপদেষ্টা স্যার সহ প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক, সমন্বয়ক, ম্যানেজিং ডায়রেক্টর, কার্যকরী সদস্য, সাধারণ সদস্য, সেচ্ছাসেবক, শুভাকাঙ্ক্ষী, মিডিয়া কর্মী, সাংবাদিক, আলোচক-সমালোচক সহ ছোট-বড় সবার কৃতজ্ঞতা-শ্রদ্ধা-সম্মান আজীবন থাকবে। আশা করা যায় সবার সহযোগীতায় 'সবার পাঠশালা' এগিয়ে যাবেই।'
উল্লেখ্য যে, 'Dhaka OIC YOUTH CAPITAL 2020' উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজন করে 'শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০'। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮৬টি দেশের প্রায় ৭০০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
আগামী নিউজ/এসএস