1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

‘সবাই মিলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম ‘সবাই মিলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে’
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ আমরা বীরের জাতি৷ অতীতে আমরা কোনো অন্যায় বা অপকর্ম মেনে নেইনি৷ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা বার বার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি৷ আমাদের গারো, হাজং ও মারমাসহ সবাইকে নিয়ে চলতে চাই৷ সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে৷ 

শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নটরডেম কলেজ অডিটোরিয়ামে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের আয়োজনে ১৬৮তম ‘মহান সাঁওতাল বিদ্রোহ বিদস’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন৷


আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সাঁওতাল কিংবা এ সমতল ভূমির সবার৷ আমরা তার এ ডাকে সবাই সাড়া দিয়েছিলাম৷ স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম৷ কিন্তু ঘাতকরা তাকে হত্যা করেছিল৷ 

তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর হচ্ছি৷ এ যাত্রায় সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে৷ শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে৷ আমাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সবাই বাঙালি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ সাঁওতালদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি৷ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ছয়টি ঋতুর মতো বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা একসঙ্গে বসবাস করছি৷  সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় যোদ্ধারা কখনো ইংরেজদের বন্ধুক বা গুলির ভয় করেনি৷ আমাদের এই বঙ্গে অনেক আন্দোলন হয়েছে৷ ইলা মিত্রও তেভাগা আন্দোলন করেছিলেন৷ তখন ইংরেজদের বর্বরতা ছিল নির্মম৷ আপনারা ১৬৮ বছর আগের সেই বিদ্রোহ আর বীরত্বের ইতিহাস যেভাবে ধরে রেখেছেন, আগামীতেও এর ধারাবাহিক রক্ষা করতে হবে৷ 


সার্বজনীন প্রার্থনার মধ্যে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খ্রিষ্টান ধর্ম যাজক মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি. রোজারিও৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার থাদেউস হেমব্রমসহ অনেকে৷ 

সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সাঁতাল হুল১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন, যাকে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিয়েছিল। এর সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। 

ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন চার মুরমু ভাই- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। ১৭৯৩ সালে বড়লাট (গভর্নর-জেনারেল) লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাদের প্রাচীন স্থানান্তর চাষাবাদ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা বিদ্রোহ গড়ে তোলে।


এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner