টাঙ্গাইলঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরা ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। একজন পাগলকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন। কিন্তু তার পদত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই এই সংবিধান অনুযায়ী।
সোমবার দুপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার নিজ বাসভবন শহরের সোনার বাংলায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি সবসময় মানুষের পক্ষে বা ন্যয় সংগত কারনের পক্ষে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কোন সরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল। এখন সংবিধানে নাই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইনে আর না পারলে সবটাই বেআইনি বলেও বন্তব্য করেছেন কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। এখন দেখতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি অর্জন করতে পারে, দেশে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক হবে। আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) কোন উপায় নাই তিনি তার প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়েন।
এসময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার প্রত্যায় ব্যক্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় সংবদ নির্বাচনে কোন জোটে যাবো কি না যানি না। তবে বিএনপির সাথে কোন জোটে যাবেন না বলে সাব জানিয়ে দেন তিনি।
ভিসানীতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, এটা সবসময় থাকে। যেকোন সরকার তার ইচ্ছেমত ভিসা দেয়। আমাদের প্রতিবেশি ভারত, দুইজনে দরখাস্ত করলে রোগীকে ভিসা দেয় আর তার সঙ্গে যে থাকেন তাকে দেয় না। এটা তাদের ইচ্ছেমত এবং পৃথিবীর সবার ইচ্ছেমতই ভিসা দেয়। বাইরের লোকেরা যে আমাদের দেশে আসে আমাদের এম্বাসিগুলো ওই একই কাজই করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই ভিসানীতি নিয়ে কোন কথা থাকতো না। ভিসা নিয়ে কথা আসছে রাজনীতির কারনে। আমি মনে করি এই ভিসার যে করাকরি বা ভিসা যে অস্ত্র জাতীয় নির্বাচনে যেন কেউ বাধা না দেয়। আর বাঁধা দিলে তার উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছু না।
এসময় তার সেঙ্গ ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/এমআইসি