ঢাকাঃ সম্প্রতি বনানীতে একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় ৫৩ জনের বেশি বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হয়। বিএনপি দাবি করেছে, ঘরোয়া অনুষ্ঠানের দাওয়াতে গিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে তাদের পুলিশ আটক করেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কে। বিনা ওয়ারেন্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের পর সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা কতোটা আইনসিদ্ধ হলো?
এ প্রশ্নে আইজিপি বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কি কাউকে গ্রেফতার করা যায় না? পুলিশ যা করেছে আইন মেনেই করেছে। বাংলাদেশে আইন মেনেই সব করছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে কী ধরনের সন্ত্রাসী কাজ করছিলেন- এমন প্রশ্নে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আপনি এফআইআর দেখলে বুঝতে পারবেন যে কী ধরনের মামলা হয়েছে। এরপরও এটার বিষয়ে তদন্ত হবে। তদন্তের পরে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
বিএনপি দাবি করেছে বিরোধী দলকে সংক্ষুব্ধ করতে, বাধা দিতেই এভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ প্রধান বলেন, এমনটি নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে।
রাজধানীর বনানী ক্লাবে বৈঠক করার সময় রোববার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মী আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির এই অভিযানে বনানী থানা পুলিশও তাদের সঙ্গে ছিল।
পুলিশ জানায়, বনানী ক্লাবে বসে বিএনপির এই ৫৫ নেতাকর্মী রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা করছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের মধ্যে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়।
বুইউ