ঢাকাঃ দীর্ঘ ২৫ বছর পর আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টায় তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার করে রওয়ানা দেবেন। আর বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে আবার রওয়ানা দেবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইনে গিয়ে সেনানিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর সেনানিবাস থেকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কামালপুর গ্রামের বাড়ি যাবেন। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে দুপুরের খাবার খাবেন ও বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাডে সুধী সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন। এরপর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ আড়াই দশক পর প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে গোটা কিশোরগঞ্জে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মিঠামইনে নিজ গ্রাম কামালপুরে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে এক দিন আগেই চলে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। তখন আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। তখনকার হাওর আর এখনকার হাওরের মধ্যে অনেক পার্থক্য।
দীর্ঘ সময় পর প্রধানমন্ত্রীর হাওরে আগমনকে ঘিরে পুরো কিশোরগঞ্জ সেজেছে নতুন রূপে। শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকশ তোরণ। আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দুই পাশে টাঙানো হয়েছে হাজারো ব্যানার-ফেস্টুন। ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ পুরো জেলায় অন্যরকম আবহ বিরাজ করছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করছে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়াও নিকলী-বাজিতপুর, করিমগঞ্জ-তাড়াইল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সমাবেশে লাখো মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সমাবেশ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বুইউ