1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সেবা করে জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০২:৩৬ পিএম সেবা করে জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকাঃ জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি, সেবা করে জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ নিয়ে চতুর্থবার ক্ষমতায়। আমরা মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দিতে চাই। একটি লোকও দরিদ্র, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। একটি লোকও অশিক্ষায়, অন্ধকারে থাকবে না।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদের ৫৯ জন চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা চাইলে জনগণের সেবা দিয়ে মন জয় করতে পারেন। আর যদি চান জনগণের সম্পদ লুট করে চিরদিনের জন্য বিদায় নিতে, তাও পারেন। এটা হলো বাস্তবতা। যেহেতু জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রেখেছে, আপনারা সেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করে দেশের উন্নয়নে আত্মনিবেশ করবেন, এটাই আমি চাই।

গ্রামের মানুষও যেন শহরের সুযোগ-সুবিধা পায় সেজন্য তার সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের সব মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায়, আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না। আমরা জনকল্যাণমূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানুষের উন্নয়নে কী কী কাজ করা যায় সেটা আপনাদের ভাবতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, 'নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে ঘোষণা দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এখন বাংলাদেশের মানুষকে কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। আগে বাংলাদেশ মানেই দুর্ভিক্ষের দেশ, ঘূর্ণিঝড়ের দেশ বলা হতো। এখন আর কেউ সেটা বলতে পারে না। এখন বাংলাদেশ বললে আন্তর্জাতিক বিশ্বই বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকে বলে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল।'

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। অনেকে বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তখন আপনার দায়িত্ব সবার জন্য কল্যাণমূলক কাজ করা। প্রতিটি মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় সে ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে।’

বিএনপির কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোকো যখন মারা যায় আমি তখন খালেদা জিয়ার খবর নিতে তার বাসায় গেলাম। কিন্তু তারা আমাকে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারা আমাকে অপমান করল। তারা মনের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ পুষে রাখে। কিন্তু আমাদের মনে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নেই।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর দেশের ৫৭ জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আইনি জটিলতায় নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সেদিন ভোট হয়নি। পরে আদালতের রায়ে নোয়াখালীতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন। আর ফেনী ও ভোলা জেলার সব পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি বাদে ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের জন্য গত ২৩ আগস্ট তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৭ অক্টোবর ৫৭ জেলা পরিষদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়। নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন নারী সদস্য ও ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ছিলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। আর প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন অন্য নির্বাচন কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় তাকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন।

বুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner