ঢাকাঃ বাস টার্মিনাল ও নির্ধারিত স্থান ছাড়া টোল আদায় করলে চাঁদাবাজির মামলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোথাও কোনো প্রকার টোল আদায় করা যাবে না। টোল মনে বাস কিংবা ট্রাকে মালিক ও শ্রমিক সমিতি একটা টোল নিয়ে থাকে তারাই সেটা নির্ধারণ করেন, সেটা টার্মিনাল ছাড়া কোনো জায়গা থেকে নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রজ্ঞাপনে তারা জানিয়ে দেবেন কোন জায়গায় কত টাকা টোল দিতে হবে। এর বাইরে টোল বা চাঁদা আদায় করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হবে।’
ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে ঢাকায় তীব্র যানজট। তারা যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতো তাহলে এত যানজট হতো না। ৬০ শতাংশ যানজট এই ট্রাফিক পুলিশের কারণে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি? প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি এভাবে ট্রাফিকের ওপর যদি চড়াও হয়ে যান, আপনারা যেগুলো যানজট সৃষ্টি করেন, এখানে তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি।’
এই কিছুক্ষণ আগে যুবদল যে জটটা সৃষ্টি করেছে এই এলাকায়, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী; আমারই আসতে অন্তত ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে। আপনি দেখছেন মেট্রোরেল, আপনি দেখছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এগুলো আসছে খুব সহসাই। আপনি কি বলবেন, আমিও তো ভুক্তভোগী। কাজেই আপনি যে যন্ত্রণাটা ফেইস করছেন, আমিও সেই যন্ত্রণাটা ফেইস করছি।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের জন্য বড়-বড় রাস্তা অনেকগুলো অকেজো হয়ে আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও ঠিক সেভাবেই আছে। আর আমাদের ঢাকা শহরে আরও বেশি রাস্তার প্রয়োজন, যেটা আমরা এখনো তৈরি করতে পারিনি। আপনারা সবাই জানেন, আধুনিক শহরের জন্য অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ রাস্তা দরকার। আমাদের আছে সাড়ে আট শতাংশ। এই জায়গাটাতে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে।
এমইউ