ঢাকাঃ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ ও মিয়ানমার থেকে মাদক আসা ঠেকাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রয়োজনে যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির পঞ্চম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে প্রয়োজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হবে। মোবাইল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা হবে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে বিদ্রোহী একটি গোষ্ঠীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
দীর্ঘদিনেও নিজভূমে না ফেরায় রোহিঙ্গারা হত্যা খুন-গুমসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। এছাড়া মাদক ও মানবপাচার, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। এতে স্থানীয়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি নানা বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে প্রয়োজনে যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিনা কারণে রক্তপাত, হানাহানি হচ্ছে। মাদক ও সন্ত্রাস বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো বন্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। তাই নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী যেকোনো সময় অভিযান চালাতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ক্যাম্পের বাইরে টহল জোরদার করা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব বাহিনী ক্যাম্পে কাজ করবে। সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সেনার সঙ্গে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার সবার একযোগে তথ্যভিত্তিক অভিযান হবে।
ক্যাম্পের অনেকেই মিয়ানমারের সিম ব্যবহার করে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল নজরদারিতে আনা হবে। দেশীয় মোবাইল অপারেটরের সিম ব্যবহার করাতে হবে। নজরদারি থাকবে কারা কী সিম ব্যবহার করে।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বারবার কেন আগুন লাগছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এমবুইউ