ঢাকাঃ টিকা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এটি গ্রহণ করলাম না। কারণ ভুলভ্রান্তি থাকলেতো আমরা গ্রহণ করতে পারি না। সেজন্য এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১৩ কোটি প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ ১১ কোটি ৬০ লাখ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ মানুষকে।’ তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে যে দামে টিকা কেনা হয়েছিল, অন্যান্য দেশ থেকেও কাছাকাছি দামে টিকা কেনা হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের টিকা কেনা এবং আনা-নেওয়ার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর বাকি টিকার দাম ২০ হাজার কোটি টাকার মতো, যেগুলো সরকার বিনামূল্যে পেয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে। তাই টিকা বাবদ খরচ নিয়ে টিআইবির তথ্য সঠিক নয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবি করোনার দুই বছরের সার্ভে করেনি। তারা সার্ভে করেছে শেষ ৮ মাসের।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনও হাসপাতাল নেই যেখানে অক্সিজেন নেই। অক্সিজেন না পেয়ে মানুষ মারা গেছে, টিআইবির এই তথ্য সঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘টিআইবি সার্ভে করেছে ১০৫টি টিকা কেন্দ্রকে ভিত্তি করে। যেখানে টিকা কেন্দ্র ছিল ১ লাখের ওপরে। ১ হাজার ৮০০ লোকের মধ্যে সার্ভে হয়েছে। যেখানে ১২ কোটির ওপরে মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের সার্ভের সাইজ এত ছোট যেটা সঠিক নয়।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ যে আর আসবে না সেটা হলফ করে বলা যাচ্ছে না। তাই সবাইকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’ ভারতে আবার করোনা সংক্রমণ বেড়েছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এমএম