1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

মেয়র হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১, ১০:৩৭ এএম মেয়র হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (২৮ নভেম্বর)।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য হানিফ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।

হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। তার সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল একজন মানুষ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন দুঃখী মানুষের আপনজন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলে তিনি মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্তর প্রচেষ্টা চালান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। নিজের জীবনবাজি রেখে প্রিয় নেত্রীকে বাঁচাতে আত্মত্যাগের এ উদাহরণ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর জন্য সবসময় অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার সময় থেকে জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ মানুষের হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় বেঁচে থাকবেন। মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে করবে।

এদিকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার সকাল ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আজিমপুরস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সাংগঠনিক সচিব মোহা. হাবিবুল ইসলাম সুমন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনগুলো, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে এ সময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ্ব মাজেদ সরদারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরবর্তীতে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৯৬ এর মার্চে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে তারই নেতৃত্বে জনতার মঞ্চ তৈরি করে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ঘটান এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে ভূমিকা রেখেছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner