1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

সিঙ্গাপুরের আদলে সাজানো হবে জাতীয় চিড়িয়াখানা

ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১, ০৯:৪৪ এএম সিঙ্গাপুরের আদলে সাজানো হবে জাতীয় চিড়িয়াখানা
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ সিঙ্গাপুরের আদলে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে সাজানার পরিকল্পনা করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। দুই দিনের এক কর্মশালার মধ্য দিয়ে এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এ কর্মশালার শেষ দিন।

মহাপরিকল্পনা তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বের শতাধিক চিড়িয়াখানার পরিকল্পনাকারী বার্নার্ড হ্যারিসন। এর আগে রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ওই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশের শুরুতেই থাকবে সুন্দরবনের প্রতিবেশব্যবস্থার আদলে তৈরি করা বনভূমি। সেখানে থাকবে ওই শ্বাসমূলীয় বনের বৃক্ষ। সেখানে বেঙ্গল টাইগার ঘুরে বেড়াবে। তার পাশেই থাকবে হরিণ–বানর থেকে শুরু করে সুন্দরবনের হরেক রকমের পাখি। তারপর একে একে আফ্রিকা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বনভূমি ও বন্য প্রাণী।

কর্মশালায় বলা হয়, এশিয়ার সেরা দুই চিড়িয়াখানা সিঙ্গাপুর ও চীনের পিকিং চিড়িয়াখানার আদলে বাংলাদেশের ওই দুই চিড়িয়াখানাকে গড়ে তোলার কাজটি অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার। তবে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তা পর্যায়ক্রমে করা হবে। এর চারপাশে সীমানাপ্রাচীর দেওয়া হবে। চিড়িয়াখানাটির প্রতিটি প্রাণীর থাকার জায়গা তার নিজের আদি প্রাকৃতিক পরিবেশের আদলে তৈরি করা হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মো. আবদুল লতীফ। চিড়িয়াখানার মহাপরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপন করেন সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বার্নার্ড হ্যারিসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লিমিটেডের টিম লিডার ও আন্তর্জাতিক চিড়িয়াখানা বিশেষজ্ঞ বার্নার্ড হ্যারিসন ও বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ রেজা খান।

পরিকল্পনায় আরও বলা হয়, নতুন ওই পরিকল্পনায় চিড়িয়াখানায় হেঁটে পরিদর্শন করা যাবে। আবার বিশেষ ধরনের বাস ও ঝুলন্ত গাড়িতে করে চড়ে বেড়ানো যাবে। পরিবারসহ সেখানে সারা দিন ভ্রমণ করতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হবে। সেখানে বন্য প্রাণীদের ব্যাপারে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ৭৫ একর জায়গা এবং রংপুর চিড়িয়াখানা ১১ একর জায়গার পুরোটার মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে ১৫ বছর সময় লাগবে বলা হয়। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

আগামীনিউজ/নাসির

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner