ঢাকাঃ যানজটের দুর্ভোগ সঙ্গী করেই ঈদযাত্রায় বাড়ির পথে হাজারো মানুষ।
সোমবার (১৯ জুলাই) মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেড়েছে পরিবহনের চাপ। থেমে থেমে চলছে পরিবহন। শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে চাপ থাকলেও পাটুরিয়ায় অনেকটা স্বাভাবিক ঈদযাত্রা।
রাজধানীর কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। নেই চিরচেনা ভিড়। এবার ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে এজন্য বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নেই।
গাবলতী বাস টার্মিনালে বেড়েছে যাত্রী চাপ। বাড়তি ভাড়া দিয়েও গন্তব্য ছুটছে অনেকেই।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) লাগামহীন সময়েও ভোগান্তি সঙ্গী করে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এলাকায় সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। পাটুরিয়া-ঢাকা মহাসড়কের চরের ডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এতে যাত্রীদের ঘাট এলাকায় এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
ভোর থেকেই ঘাট এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে। লঞ্চ ও ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা নদী পাড়ি দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ফেরি স্বল্পতা এবং যানবাহন বৃদ্ধির কারণে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ফেরি স্বল্পতা ও নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগায় ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ও আরিচা কাজীরহাট নৌরুটে মাত্র ৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় ঘাট এলাকায় এ যানজট দেখা দিয়েছে।
শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘাট এলাকা দিয়ে ঘরমুখো যাত্রীরা নির্বিঘ্নে গৌন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রায় ৬ শতাধিক পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নিয়োজিত রয়েছে। যাত্রীদের মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা বলেন, লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব ও দুই সিটে একজন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের পারাপার করতে বলা হয়েছে। কোনও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।