1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ঝিনাইদহে নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার চার আসামীর কয়েক ঘন্টার মধ্যে জামিন 

এম বুরহান উদ্দীন, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২১, ০৪:৫১ পিএম ঝিনাইদহে নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার চার আসামীর কয়েক ঘন্টার মধ্যে জামিন 
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহঃ গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও শারীরিক নির্যাতন করায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছিলেন এক গৃহবধু। আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার পর ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ এই মামলার চার আসামীকে রোববার গ্রেফতার করে। অথচ গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আসামীরা কারাগারে না গিয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান। এ ঘটনায় হতাশ বাদী  ও তার নিয়োজিত আইনজীবী এড নজরুল ইসলাম। 

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আজিজার রহমানের ছেলে মুন্সী শাহীন রেজা সাঈদ, জোহা শেখের ছেলে মোঃ পাপলু শেখ,  মৃত আজম আলীর ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম লাল্টু ও বৈডাঙ্গা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে রাসেল। 

বাদীর আইনজীবী এ্যাড. নজরুল ইসলাম খবরের সত্যতা স্বীকার করে সোমবার বিকালে আগামী নিউজকে জানান, ৩১ জানুয়ারি গৃহবধুর ঘরে উঠে ধরা পড়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী শাহীন রেজা সাঈদের ছেলে মাসুদ রানা। ঘটনার দিন তিনি এই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন এসে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে গৃহবধূকে তালাক দেয় তার প্রবাসী স্বামী।  স্বামী কর্তৃক তালাক প্রাপ্ত হয়ে আদালতে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারা (জামিন অযোগ্য) এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইটি মামলা করেন। রোববার ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ আসামীদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের জামিন দেন। 

জামিন পাওয়ার পর আসামী মুন্সি সাইদ জানান, মামলাটি মিমাংশা হয়ে গেছে। 

তবে ভুক্তভোগীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, আদালতে তারা মিথ্য তথ্য দিয়ে জামিন নিয়েছেন। কারণ এই মামলা মিমাংশা করার কথা বলে আসামীরা প্রতারণা করেছে। 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা খাতুন অভিযোগ করেন, আ’লীগ নেতা সাঈদ মুন্সীর ছেলে মেয়েটার সংসার ভাঙলো। মেয়েটাকে জিম্মি করে তার স্বামীকে দিয়ে তালাক দিল। আবার জামিন অযোগ্যধারার মামলায় তারা জামিনও হয়ে গেলো। 

বাদি জানান, আমি ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা করেছিলাম। কিন্তু যা হলো তাতে আমি হতাশ। কোথায় গেলে আমি ন্যায় বিচার পাবো ?

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner