ঢাকাঃ এক চিঠিতেই এনআইডির নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি নন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলছেন, ‘এটা টেবিল-চেয়ার নয় যে উঠিয়ে নিয়ে গেল। এটা নিয়ে বসতে হবে আলোচনায়।’
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যথাস্থানেই। এতে সমন্বয়হীনতার কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (২৩ জুন) রাজধানীতে দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে এমনই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন দুজন।
২০০৭ থেকে ছবিসহ ভোটার তালিকা ও এনআইডি দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখন এনআইডির নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে। কিন্তু ভোটার তালিকা ও এনআইডির নিয়ন্ত্রণ সহজে ছাড়ছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘সরকার চাইলেই হবে না, এ নিয়ে বসতে হবে আলোচনায়। এনআইডি উইং অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। কীভাবে নেবে না নেবে, এ বিষয়ে নিশ্চয়ই সচিবপর্যায়ে কথাবার্তা হবে। ইসির সুবিধা-অসুবিধাগুলো তাদের জানানো হবে।’
এসময় আরো বলেন, ‘সরকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত হয়েছে এ রকম বলা যায় না। তারা নিতে চায়। ইসি দেবে না-এ রকমও বলা যায় না। ইসি সে রকম অবস্থানে নেই। আলোচনায় বসতে হবে, এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কথা।’
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাফ জানালেন, ‘সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এই বিষয়ে যেসব কথা হচ্ছে তা একেবারেই অবান্তর। আমরা জেনে-বুঝেই সবার মতামত নিয়ে এনআইডি সেবাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দিয়েছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে। এ বিষয়ে সিইসির আশঙ্কা, সরকারের এ সিদ্ধান্তে সংকট বাড়বে। এ অভিযোগ মানছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।