ঢাকাঃ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। যশোরে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারত ফেরত চারজনের শরীরে এ নমুনা পাওয়া গেছে।
শনিবার (৮ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। এ ধরনটিকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার।
ভারতীয় করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৬ এপ্রিল ভারতের সঙ্গে সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে এই সময়ের মধ্যে সব স্থলবন্দর চালু রয়েছে। শুধু যারা ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছেন তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থাকা বাধ্যতামূলকের শর্তে দেশে ফেরার অনুমতি মিলছে।
ভারতের আইইসিএমআরের গবেষণা বলছে, বাধা না থাকলে করোনারি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি ৩০ দিনে ৪০৬ জনকে সংক্রমিত করে।
দেশে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট ঢুকে পরলে যে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ এবং তা যে সামাল দেওয়া যাবে না- এ বিষয়ে বেশ কয়েকবারই সতর্ক করেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর তাই সতর্ক হবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও বলেছেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৩ জনের। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৮২ জন রোগী। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জনে।
অন্যদিকে, শনিবার ভারতে মহামারী করোনা ভাইরাসে এক দিনে প্রথমবারের মতো চার হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ নতুন করে আরো ৪ হাজার ১৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছে।
আগামীনিউজ/নাহিদ