ব্রাহ্মণবাড়িয়া: লন্ডনে কোভিড-১৯ টেস্ট করেছি, এখানে কেনও টেস্ট করতে হবে। বাসা থেকে বের হবো। হোম কোয়ারেন্টাইন মানবো না। প্রয়োজনে ব্রিটিশ হাইকমিশনে গিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো। এভাবেই করোনা সংক্রমণ রোধে দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন লন্ডন প্রবাসী মো. মাসুম। গত ৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
পরে অবশ্য ওই প্রবাসীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে। সেই সঙ্গে তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের।
ওই প্রবাসী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মান ছিলেন না বলে তার বাড়িতে গিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার তাকে কোয়ারেন্টাইন মানার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তি কৃষি অফিসারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গেলে তার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।
আজ (০৯ ডিসেম্বর) সকালে ছুটে যান নাসিরনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার। ওই প্রবাসী তাকেও পাত্তা দেননি। খবর পেয়ে ছুটে যান উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী।
সেনাবাহিনীর টহল টিম, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে গিয়ে আবারও হোম কোয়ারেন্টাইন মানতে বলা হয়। এ সময় তিনি নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। যারা অভিযানে গেছেন তারা ছোট চাকরি করেন, ছোট মন-মানসিকতার লোক।
এক পর্যায়ে পুলিশ ফোর্স ও সংশ্লিষ্টদেরকে পিপিই পড়িয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ইউএনও। এই অবস্থায় প্রবাসী কিছুটা নমনীয় হয়ে আসেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার কথা বললে তিনি এসি ও অ্যাটাচ বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন এক পুলিশ কর্মকর্তাকে। পরে তাকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
ইউএনও নাজমা আশরাফী বলেন, লন্ডন ফেরত ওই প্রবাসীকে এখন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রবাসী ও তার পরিবার আচরণকে দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আগামীনিউজ/প্রভাত