ঢাকাঃ খোরাকি ভাতা ও বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে তিন দিন ধরে চলা পণ্যবাহী চ হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২অক্টোবর) মালিক ও শ্রমিকপক্ষের আলোচনার পর এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এর আগে দেশব্যাপী চলা পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের এ ধর্মঘট আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।
গত সোমবার (২০অক্টোম্বর) মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘট ডাকে। ফলে সারা দেশে পণ্যবাহী জাহাজ ও কার্গো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নৌযান শ্রমিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো-
*ভারতগামী নৌযান শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাসের ব্যবস্থা করা।
* কন্টিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করা।
* মৃত্যুকালীন ভাতা ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
* নৌযান শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বন্ধ করা।
এদিকে নৌযান শ্রমিকরা বলছেন, মার্চ মাসে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে খাদ্যভাতা দেওয়ার। অথচ কোনো নৌযান শ্রমিক খাদ্যভাতা পাননি। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র হয়নি। কল্যাণ ফান্ড নেই। শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি কার্যকর বা বাস্তবায়ন হয় না।
কর্মবিরতির বিষয়ে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো শাহ আলম ভূইয়া বলেন, এই ১১ দফা দাবি ২০১৮ সালে প্রথম তোলা হয়। এরপর নৌ শ্রমিকরা গত ৩ বছর কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রতিবছর সরকার ও মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে।
আগামীনিউজ/জেহিন