1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

এই অব্যাহত ধর্ষণের শেষ কোথায়?

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২০, ০৫:৫৪ পিএম এই অব্যাহত ধর্ষণের শেষ কোথায়?
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাঃ "আমার মাটি, আমার মা, ধর্ষকদের হবে না" স্লোগানে রাজধানীর শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীরা করছেন মুখরিত। বৃষ্টি উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মত ধীরে ধীরে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দাবী একটাই "ধর্ষকদের বিচার চাই"।

উল্লেখ্য, সিলেট এম সি কলেজের ধর্ষণ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নোয়াখালীর গৃহবধূ ধর্ষণ ঘটনাটি সারাদেশে চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ। সবারই একটি প্রশ্ন- 

এই অব্যাহত ধর্ষণের শেষ কোথায়?

এই বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের স্লোগানকণ্যা লাকি আক্তার আগামী নিউজ ডট কম কে বলেন, " আমি মনে করি প্রতিবাদ ও লড়াইয়ের কোন বিকল্প নাই। যারা ধর্ষক তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। অনেকেই ক্রসফায়ারের কথা বলছেন। আমি কোনভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করি না এবং আমি মনে করি অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমেই শাস্তি দিতে হবে। যে কথাটা উঠছে ধর্ষকের দায় কার? আমি বলছে চাচ্ছি ধর্ষকের দায় অবশ্যই ধর্ষকের এবং যেই রাজনৈতিক দল ধর্ষণের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তাদেরও। বর্তমানে শুধু ধর্ষণই নয় শারীরিকভাবে যে অরাজকতা চলছে, সিস্টেম যেভাবে কলাপ্স হয়েছে তাঁর জন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, সেই সাথে এই দায় নিয়ে সরকারের সরে যাওয়া উচিত।"

মানবাধিকার কর্মী ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেত্রী মাসুদা আক্তার লাইলী আগামী নিউজ ডট কম কে বলেন, " ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করা, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহীতার মধ্যে আনা, দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করা, সংসদের ধর্ষণ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করা উচিত।"

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীদের মঞ্চ থেকে দাবী করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পদত্যাগ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পদত্যাগই কি সমাধান ?

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু  আগামী নিউজ ডট কম কে বলেন, " আমরা মনে করি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নারীদের নিরাপত্তা দিতে প্রচন্ডভাবে ব্যর্থ। এই পুরো করোনা ভাইরাসের সময়ে নারী নির্যাতন ব্যপকভাবে বেড়ে গেছে এবং এই সময় নারীদের নিরাপত্তা তারা কোনভাবেই দিতে পারছে না। অথচ, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনি যেহেতু একটা পদে আসেন। সেই পদে থেকে তিনি কিভাবে বলেন সারা বিশ্বেই ধর্ষণ হচ্ছে। এমন কোন দেশ নাই যে সেই দেশে ধর্ষণ নাই। এটা তো কোন জাস্টিফিকেশন হতে পারে না।

তিনি বলেন, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিই যখন দায়িত্বে অবহেলা করেন, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে লাগামছাড়া বক্তব্য দেন তাহলে তো তাঁর পদত্যাগই কাম্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি আন্দোলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা সমাজের মধ্যে একটা প্রভাব তৈরি করে, একটা আলোড়ন তৈরী করে। এই আন্দোলন চলমান, থামার কিছু নেই। নারীর প্রতি সমাজের যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটা পরিবর্তন হওয়া ছাড়া এবং সকল ধর্ষক- নিপীড়কদের বিচার হওয়া ছাড়া আমরা এ আন্দোলন থেকে উঠবো না।"

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য লাকি আক্তার বলেন, " আমি মনে করি প্রতিবাদ ও লড়াইয়ের কোন বিকল্প নাই। যারা ধর্ষক তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। অনেকেই ক্রসফায়ারের কথা বলছেন। আমি কোনভাবে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করি না এবং আমি মনে করি অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমেই শাস্তি দিতে হবে। যে কথাটা উঠছে ধর্ষকের দায় কার? আমি বলছে চাচ্ছি ধর্ষকের দায় অবশ্যই ধর্ষকের এবং যেই রাজনৈতিক দল ধর্ষণের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তাদেরো। বর্তমানে শুধু ধর্ষণই নয় শারীরিকভাবে যে অরাজকতা চলছে, সিস্টেম যেভাবে কলাপ্স হয়েছে তাঁর জন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই, সেই সাথে এই দায় নিয়ে সরকারের সরে যাওয়া উচিত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা নয়, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে যে ধরণের ঘটনাগুলো যাতে কোন রাজনৈতিক দল যাতে মদত না দেয়, পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়, সরকারকে তার দায় নিতে হয় এবং নিয়ে রেসপন্স করতে হয়, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হয়। সেই জিনিসটা স্পষ্ট হয় এবং এর পরে যারা আসবে তারা সেই জিনিসটা মাথায় রাখবেন। সেই সাথে তারা হুশিয়ারে থাকবেন তারা এই ধরণের লোকদের জায়গা দিবেন না। 

তিনি বলেন, কৃষক নিষ্পেষণ, পাটকল বন্ধ, নারী নির্যাতন সবকিছু মিলিয়ে একটা দিকেই যায় আসলে পুরো সিস্টেমটাই কল্পাস করেছে। সমস্ত সেক্টরে যারা আছেন তারা সকলে মিলে  তারা যদি তাদের জায়গা থেকে লড়াইগুলো ইনেশিয়েট করে, প্রতিবাদে সামিল হন। এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করার কিছু নেই। ফলে সেই দিকে আন্দোলন যাবে বলে আমি মনে করি।"

ধর্ষণের বিচারহীনতার সামাজিক প্রভাবক কতটা?

ধর্ষণের বিচারহীনতার সামাজিক প্রভাবক বিষয়ে প্রীতিলতা বিগ্রেডের ঐশ্বর্য আহমেদ আগামী নিউজ ডট কম কে বলেন, "সমাজের অব্যাহত এই যে ধর্ষণ এর সাথে যতটা না যৌনতার সম্পর্ক, তার সাথে অধিক সম্পর্ক ক্ষমতাশীন দলের যে খুন, ধর্ষণ হচ্ছে তার যে বিচার হচ্ছে না, তারা যে সরকারের ছায়াতলে আছে, বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তার কারণেই ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সমাজ যতটা ধর্ষকে ব্লেইম না করে বারবার ভিক্টিম ব্লেইমইং করছি। সমাজ আসলে সমাধান না করে ভিক্টিম ব্লেইমইং করছে। আজকে আন্দোলনে যে আহত হল তার দুইজন প্রীতিলতা বিগ্রেডের।"

ঐ নারী কেন ঐখানে ছিল, তার পড়নে কি ধরণের পোশাক ছিল এ ধরণের ব্লেইমইং ধর্ষণ অব্যাহতা বাড়চ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner