1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি
পুলিশী মৃত্যুর প্রথম রায়ঃ

জনি হত্যার মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক ‌ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০, ১০:২৪ এএম জনি হত্যার মামলার রায় আজ
ফাইল ছবি

ঢাকাঃ আজ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইনে করা প্রথম কোন মামলার রায়। এর আগে এ ধরণের কোন মামলা হয় নি  আদালতে।

গত সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আজ ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়।এ মামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন আসামি। তাই এ রায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন আইনজীবীরা। ভুক্তভোগী পরিবারে প্রত্যাশা, রায়ে সর্বোচ্চ সাজা হবে আসামিদের।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) তাপস কুমার পাল জানান, ‘আজ দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সে সময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হবে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছি।’

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করেন। পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।নির্দেশ অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

অব্যাহতির সুপারিশ করা পাঁচ আসামি হলেন—পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমান, এসআই আবদুল বাতেন, রাশেদ ও শোভন কুমার সাহা ও কনস্টেবল নজরুল।অন্যদিকে অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন—পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ।এ প্রতিবেদন ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আমলে নিয়ে পল্লবী থানার এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে জনির প্রতিবেশী সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তাঁর ভাই পুলিশের সোর্স সুমনকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। সোর্স সুমন ওই দিন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকেন। তখন জনি ও তাঁর ভাই তাঁকে আবারও চলে যেতে বললে সোর্স সুমন পুলিশকে ফোন করে তাঁদের ধরে নিয়ে যেতে বলেন।দুই ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন পুলিশকে ধাওয়া দিলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে।জনি ও তাঁর ভাইকে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরো খারাপ হলে জনির মা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশ সোর্সের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করাই কাল হয়ে ওঠে ঝুট ব্যবসায়ী ইশতিয়াক হোসেন জনির। ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে জনি ও তার ভাই রকিকে থানায় ধরে নিয়ে যায় সোর্স সুমন ও পল্লবী থানা পুলিশ। এরপর রাতভর পেটানো হয় তাকে। এক পর্যায়ে মারা যায় জনি। ভাইয়ের হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা করেন রকি।
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। ৬ বছরের দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার শেষ হলো বিচার। নিহত জনির পরিবারের প্রত্যাশা, রায়ে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।

জনির ভাই রকি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে একটা মামলার ৭ বছর আমার জীবন থেকে চলে গেছে। এটা আমি বলতে পারবো না, আমাদের কি কি পেতে হয়েছে।

এ মামলায় সুষ্ঠু বিচার হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে আইনের ঊর্ধ্বে নন- এমন বার্তা পৌঁছাবে বলে আশাবাদ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, পুলিশ হেফাজতে যদি কেউ মারা যায় তার জন্য এই আইনটি কার্যকর করা হয়। এমন আইনের প্রথম কোন মামলায় রায় হতে চলেছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আশা করি, আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেবেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner